বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের আগে পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বাজারে এত সংখ্যক ট্যাব অমিল থাকায় পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই নিয়েই তদন্তের নির্দেশ দিল সমগ্র শিক্ষা মিশন। মার্চ মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পড়ুয়াদের থেকে উপযুক্ত বিল চেয়ে স্কুলের কাছে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশের পর নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ট্যাব অথবা স্মার্ট ফোন কেনার জন্য টাকা পেয়ে অনেকেই সেটা না কিনে ভুয়ো বিল বানিয়ে জমা দিয়েছে বলে চারিদিক থেকে নানান অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগ খতিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফ থেকে স্কুলগুলিকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর শিক্ষকদের একটি সংগঠন বিরোধিতা করেছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ওই সংগঠন সংশ্লিষ্ট দফতরে মেইল পাঠিয়ে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
স্কুলের শিক্ষকরা জানান, ফোন/ট্যাব কেনার জন্য সরকার যেই টাকা ধার্য করেছিল, সেটা সরাসরি পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে গিয়ে ঢুকেছে। এর মাঝে স্কুলের কোনও দায়িত্ব ছিল না। সরকার আর পড়ুয়াদের মধ্যে সরাসরি লেনদেন হয়েছে। আর সেই কারণে সরকারের এই অনুদানের হিসেব দেওয়ার দায়িত্ব স্কুলের না। কিন্তু এরপরেও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেওয়ার দায়িত্ব স্কুলের উপর দেওয়া হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
অ্যাডভান্সড সোসাইটি অফ হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি জানান, ফোন অথবা ট্যাব কেনার বিল আসল না নকল সেটা যাচাই করার পদ্ধতি বা উপায় স্কুলের হাতে নেই। আর সেই কারণে উক্ত বিল যাচাই করে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট তৈরি করা স্কুল গুলোর পক্ষে একপ্রকারে অসম্ভব।