বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাহাড়ের কথা মাথায় এলেই বাঙালির প্রথম মনে আসে দার্জিলিং। ছুটি পেলেই বাঙালি পাড়ি জমান দার্জিলিঙে। পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, বাংলার বাইরে থেকেও বহু মানুষ দার্জিলিংয়ে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে যান। বিদেশ থেকে বহু পর্যটক ঘুরতে আসেন দার্জিলিঙে। এরফলে সারা বছরই ভিড়ে ঠাসা থাকে শৈল শহর। পাহাড়ে গিয়ে যদি শান্ত পরিবেশে সময় কাটাতে চান তাহলে সেই সুযোগ এখন খুব একটা হয়ে ওঠে না।
এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে নতুন দার্জিলিং তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আলিপুরে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী ধনধান্য অডিটোরিয়াম উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেন, তৃণমূল সরকার অনেক কাজ করছে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে গজলডোবার নামও। মমতা বলেছেন, গজলডোবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে গেছেন তিনি। ছবি তুলে এনে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে দেখিয়েছিলেন।
খোঁজখবর নেওয়ার পর জানতে পারেন সেখানকার জমি রয়েছে সেচ দপ্তরের হাতে। সেখানে রাজ্য সরকার “ভোরের আলো” প্রকল্প তৈরি করতে চলেছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “স্থানীয় এলাকার শান্ত থাকলে কাজ সহজ হয়। ১০-১২ বছর পর পর দার্জিলিঙে অশান্তি তৈরি করে। কিছু লোক উন্নয়নের কাজ করতে চায়না। তা সত্ত্বেও আমরা ভাবছি দার্জিলিং এর কথা। নতুন দার্জিলিং তৈরির পরিকল্পনা করছি।”
এরই সাথে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এদিন জানান, “এখন থাকার জায়গা নেই দার্জিলিংয়ে। এমন পরিস্থিতিতে হোটেল বা রিসর্ট তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে চা বাগানের ১৫ শতাংশ এলাকায়। হর্ষ নেওয়াটিয়া রুদ্রদের ওখানে রিসর্ট তৈরি করেছেন। শুনেছি খুব ভালো জায়গা।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এখন বাংলায় এত কিছু করা হয়েছে যে বাংলার বাইরে আর যাওয়ার দরকার নেই।