বাংলাহান্ট ডেস্ক : ট্রলার ও মৎস্যজীবীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা এবার পূরণ হতে চলেছে। বরাদ্দ হয়েছে অর্থ। তার ফলে ড্রেজিং হবে দিঘা (Digha) মোহনা। প্রতিবছর মাছ ধরার মরশুমে দিঘা মোহনায় ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ বছরও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে ফিরে আসার সময় দিঘা মোহনার কাছে, চড়ায় ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল বেশ কয়েকটি ট্রলার।
যদিও সেই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও, ক্ষতি হয় ট্রলারে থাকা মাছ ও কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের ট্রলারের। এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীরা ড্রেজিং করার আবেদন জানিয়ে আসছিল বারবার। অবশেষে তাদের সেই আবেদনের সাড়া মিলল। দিঘা মোহনা মৎস্যজীবীদের কাছে কার্যত আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরোও পড়ুন : সেপ্টেম্বরে ব্যাঙ্কের ছুটি থাকবে অর্ধেকের বেশি দিন! বিপদে পড়ার আগেই দেখুন তালিকা
দীর্ঘদিন ড্রেজিং না হওয়ার ফলে প্রতিবছরই মাছ ধরে ফিরে আসার সময় চড়ায় ধাক্কা লেগে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি । মরশুমের শুরুর দিকে সমুদ্রে মাছ ধরে মোহনায় আসার সময় চড়ায় ধাক্কা লেগে দুটি ট্রলার ডুবে যায়। তবে জেলে, মাঝিরা বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলে, তারা রক্ষা করতে পারেনি কয়েক লক্ষ টাকার মাছ সহ ট্রলার।
আরোও পড়ুন : এবার মিলবে এই দুর্দান্ত সুবিধা! পেনশনারদের জন্য বড় উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের
এই ঘটনার পরে অবশেষে প্রশাসনের তরফ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে দিকটা দেখবে প্রশাসন। তাই এবার দিঘা মোহনায় ড্রেজিং এর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফ থেকে ২১ কোটি টাকা অর্থ অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়া আরও জানানো হয়েছে যে , নভেম্বর মাসের পর থেকেই ড্রেজিং-এর কাজ শুরু হয়ে যাবে।
বরাদ্দ টাকার ১২ কোটি টাকা ড্রেজিংয়ের জন্য খরচ করা হবে এবং বাকি টাকা শংকরপুর ফিসিং হারবারের উন্নয়নের জন্য খরচ হবে বলে জানানো হয়েছে দিঘা শংকরপুর ফিশারমেন ফিস ট্রেডার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। এর ফলে মৎস্যজীবীদের যেমন উপকার হবে তেমনি উপকার হবে ট্রলার মালিকদেরও।
তবে উভয় পক্ষের কাছে খুশির খবর বলে জানিয়েছে তারা। এ বিষয়ে দিঘা শংকরপুর ফিশারমেন ফিস ট্রেডার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রণব কর জানান, ‘মোহনায় ট্রেডিং সহ ফিশিং হারবারের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে মোট ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ফলে দিঘা মোহনায় ড্রেজিংয়ের সমস্যা আর থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে।’