বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে ভয়াবহ বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে হয়েছিল গোটা দেশকে৷কখনও তিথিতেই কখনো আয়লা আবার কখনও ফোনে দাপটে গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্য তছনছ হয়ে গেছে আবার প্রাণ হারিয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ, মত্স্যজীবীরা৷ বিশেষ করে চলতি বছরে এই বুলবুলকে নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে চলেছে ভারতের বিভিন্ন ও উপকূল৷
এক বছরের হিসেবের নিরিখে দেখা গিয়েছে পাঁচটি ঘূর্ণিঝড়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মত্স্যজীবীরা৷ বার বার ঘূর্ণিঝড়ের নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় মত্স্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারেন না আর এ ক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যায় তাঁদের রুটি রোজগার৷ অনেক সময় আবার দেখা গিয়েছে মত সজীবীরা সমুদ্রে গিয়ে আর ফিরতে পারেনি আর এতে বিপদে পড়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা
তাই মাঝ সমুদ্রে সুনামি বা ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে মত সজীবীদের রক্ষা করতে নতুন স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেমের সাহায্য নিতে চলেছেন ইন্ডিয়ান সুনামি আর্লি ওয়ার্নিং সেন্টারের বিজ্ঞানীরা৷ ইতিমধ্যেই তারা আবিষ্কার করে ফেলেছেন জেমিনি নামের একটি যন্ত্র যেটি এত দিন বন্দরগুলিতে প্লেন ওঠা আমার কাজে ব্যবহার করা হতো এ বার সেই যন্ত্রের সাহায্যে প্রাণ বাঁচবে লক্ষ লক্ষ মত্স্যজীবীদের৷
জানা গিয়েছে এই জেমিনি যন্ত্রের মাধ্যমে আগে থেকে মত্স্যজীবীরা সতর্ক হয়ে যাবেন, অর্থাত্ ঘূর্ণিঝড়ের খবর থাকলে কিংবা আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটলে মত সজীবীদের মোবাইল ফোনের ব্লুটুথের মাধ্যমে সরাসরি কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই যন্ত্রটি কাজ করবে৷ তাই আগে থেকে সচেতন হয়ে যাবেন মত সচিবরা, তাই মাত্র নয় হাজার টাকার বিনিময়ে এই যন্ত্র কিনলে বাঁচবে অনেক মত্স্যজীবীর প্রাণ৷