পুজোয় চা-বিস্কুট, তেলেভাজার ব্যবসা করুন, কুলিয়ে উঠতে পারবেন না! যুব সমাজকে নিদান মমতার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। তার পরই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা (Durga Puja 2022)। আর এই উৎসব আবহেই রাজ্যবাসীকে কর্মসংস্থানের নতুন পথ দেখালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরই সঙ্গে যুবসমাজকে তিনি বার্তা দিলেন — ‘একটু খেটে খেতে হবে।’

বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের সভা থেকে মমতা পরামর্শ দেন, ‘এক হাজার টাকা জোগাড় করে একটা কেটলি কিনুন আর মাটির ভাঁড় নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট নিন। আস্তে আস্তে বাড়বে।’ কিন্তু কী ভাবে বাড়বে? সেই পথও বলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিলেন। তার পরের সপ্তাহে মাকে বললেন, ‘একটু ঘুগনি তৈরি করে দাও।’ তার পরের সপ্তাহে একটু তেলেভাজা করলেন। একটা টুল আর একটা টেবিল নিয়ে বসলেন। এই তো পুজো আসছে সামনে। দেখবেন লোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না! আজকাল এত বিক্রি আছে!’

এর আগে তেলভাজাকে নির্ভর করে কর্মসংস্থানের বিকল্প পথের কথা বলেছেন মমতা। ‘চপকে শিল্পের তকমা দেওয়া’ নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষও করেছেন তাঁকে। সেই বিষয়ে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগে বললে অনেকে আমাকে টোন-টিটিকিরি করত। তাঁরা আজকে বুঝবেন।’ সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘কোনও কাজই জীবনে ছোট নয়। যতই মানুষ মাটি থেকে উঠে আকাশে যাক, এটাই তাঁদের কাহিনি।’

মমতার মস্তিষ্ক প্রসুত চপশিল্প নিয়ে গবেষণাপত্র লিখে ‘ডক্টরেট’-ও করেছেন উত্তরবঙ্গের এক গবেষক। আজও মমতার পরামর্শ শুনে শ্রোতাদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ দেখা যায়। গ্রামীণ কুটিরশিল্পকে নতুন মাত্রা দেওয়ার কথাও বৃহস্পতিবার শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। গ্রামবাংলার খালে-বিলে ভেসে থাকা কচুরিপানাকে শুকিয়ে যে সুন্দর থালা তৈরি করা যায়, সে কথাও উঠে এসেছে তাঁর বক্তৃতায়। এসেছে পুজোর মরসুমে অবহেলায় ফুটে থাকা কাশফুল থেকে বালিশ এবং হালকা লেপে তুলোর বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের কথাও। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘এই কাশফুলগুলো পড়ে থাকে। দু’মাস পরে আর কোথাও পাওয়া যায় না। কাশফুলগুলোকে এককাট্টা করে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং পাড়ার ছেলেমেয়েদের কাজে লাগিয়ে সংরক্ষণ করে তুলোর সঙ্গে মিশিয়ে কাজে লাগানো যেতেই পারে।’

Sudipto

সম্পর্কিত খবর