বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশের বৃহত্তম সরকারি বিমা সংস্থা LIC একটি পলিসি এনেছে। যা ইতিমধ্যেই মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এটি হল LIC জীবন আজাদ পলিসি। এর আগে তাদের জীবন আনন্দ পলিসিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তেমনই এ ক্ষেত্রেও পলিসি লঞ্চ হওয়ার ১০-১৫ দিনের মধ্যেই গ্রাহক সংখ্যা ৫০ হাজার পার করে গিয়েছে। একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন চেয়ারম্যান এমআর কুমার।
জীবন আজাদ পলিসি একটি নন-পার্টিসিপেটিং ইনসুরেন্স স্কিম। গত জানুয়ারিতেই এই স্কিমটি লঞ্চ করেছে LIC। সব বয়সের মানুষের জন্যই স্কিম চালায় জাতীয় বিমা সংস্থা। ফলে বিমার ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় ভরসা করেন এই সংস্থাটির উপর। জীবন আজাদ স্কিমে গ্রাহকদের মাইনাস ৮ বছরের মেয়াদ অবধি প্রিমিয়াম দিতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, একজন লগ্নিকারী যদি ১৮ বছরের জন্য একটি পলিসি করান, তাহলে তাঁকে ১৮-৮=১০ বছরের জন্য প্রিমিয়াম দিতে হবে। পলিসি মেয়াদপূর্তিতে একেবারে অনেকটা টাকা পাওয়া যাবে। এই পলিসিতে ন্যূনতম ২ লক্ষ টাকা এবং সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। বিনিয়োগকারী ১৫ থেকে ২০ বছরের জন্য এই পলিসিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
ধরা যাক একজন ৩০ বছর বয়সি মানুষ এই স্কিমে ১৮ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলেন। তিনি ১০ বছরের জন্য ১২ হাজার ৩৮ টাকা দিলেন ২ লক্ষ টাকার জন্য। এ বার পলিসিহোল্ডারের মৃত্যু হলে ন্যূনতম ম্যাচুরিটি মূল্য অথবা বার্ষিক প্রিমিয়ামের ৭ গুণ বেশি টাকা নমিনি পাবেন। পলিসি করার সময়েই এটি বেছে নিতে হবে পলিসিহোল্ডারকে। কিন্তু এটি পেতে গেলে মৃত্যুর তারিখ অবধি মোট প্রিমিয়াম যেন ১০৫ শতাংশের কম না হয়।
এই স্কিমে ৯০ দিন বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সি মানুষ বিনিয়োগ করতে পারবেন। বিনিয়োগকারীরা চাইলে বার্ষিক, অর্ধ বার্ষিক, ত্রৈমাসিক বা মাসিক ভিত্তিতে প্রিমিয়াম দিতে পারেন। সংস্থার চেয়ারম্যান এমআর কুমার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে নন-পার্টিসিপেটিং ইনসুরেন্সের উপর বেশি জোর দিচ্ছে LIC। কারণ এগুলি পলিসিহোল্ডারদের বেশি অর্থ দেয়।