বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি মামলায় (SSC Recruitment Scam) নতুন নাম। এবার CBI-র তদন্তে নয়া ‘পর্দাফাঁস’! গত মাসে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে চাকরি যায় ২৫৭৫৩ জনের। SSC ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেয় উচ্চ আদালত। পরে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য মামলা করলে সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দিলেও খুঁজে বের করতে হবে যোগ্য আর অযোগ্য এই দুই পক্ষকে। জানা গিয়েছিল প্রায় ২৬০০০ জনের মধ্য থেকে অযোগ্যদের খুঁজে বের করতে দিনরাত এক করে চেষ্টা চালাচ্ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু এরই মাঝে বিরাট তথ্য সামনে আনল সিবিআই (CBI)।
বর্তমানে SSC মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। অযোগ্যদের খুঁজতে আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। তারই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নথির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই অযোগ্যদের তালিকার হদিশ পেয়েছে। এসএসসির সার্ভার থেকেই মিলেছে সমস্ত কিছু। সূত্রের খবর, দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং স্কুলকর্মীদের তালিকা পেয়েছে সিবিআই। কমিশন তরফে নায়সাকে একটি ইমেল মারফত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কাদের কাদের কত নম্বর বাড়াতে হবে। এবার তদন্ত চালিয়ে সেই ইমেল সহ তালিকাই গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে।
সূত্রের খবর, এসএসসির সার্ভার থেকে ইতিমধ্যেই ‘অযোগ্য’দের নথি ও তথ্য উদ্ধার করেছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এসএসসি তরফে নায়সা কর্তা নীলাদ্রি দাস, নায়সার প্রাক্তন কর্তা পঙ্কজ বনশল ও নায়সার এক কর্মী মুজাম্মিল হোসেনকে ইমেল করা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেই উঠে এসেছিল নীলাদ্রি ও পঙ্কজ বনশলের নাম। তবে এবার এই মুজাম্মিল হোসেনের নামেরও হদিস দিল CBI. কী তার পরিচয়? অযোগ্যদের তালিকে কেন এই ব্যক্তিকে ইমেইল করেছিল কমিশন?
জানা গিয়েছে, নায়েসার অত্যন্ত প্রভাবশালী কর্মী মুজাম্মিল হোসেন। নায়সার হয়ে এসএসসি-র ও কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে অফিসিয়ালি যোগাযোগ রাখতেন এই ব্যক্তি। কেবল কাজের সূত্রেই নয়, ব্যক্তিগত স্তরেও মুজাম্মেলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তৎকালীন শিক্ষাকর্তাদের।
আরও পড়ুন: ‘আর নাম খুঁজে পেলে না?’! ‘মমতা’ নামটা একেবারে নাপছন্দ! ৬৯ বছরে এসে আক্ষেপ তৃণমূল নেত্রীর!
CBI সূত্রে খবর, বর্তমানে এসসিসি-র সার্ভার সিজ করেছেন তারা। এরপরই সার্ভার ঘেঁটে মিলেছে একাধিক মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মত তথ্য। নজরে আসে একাধিক ইমেল। SSC থেকে প্রথম ইমেল করা হয় নায়েসাকে। কমিশন মারফত ইমেল গিয়েছিল নায়সার কর্তা নিলাদ্রি দাস, নায়েসার প্রাক্তন কর্তা পঙ্কজ বনশল ও নায়েসার এই কর্মী মুজাম্মিল হোসেনকে। এবার এই বিস্ফোরক তথ্য ধরে SSC মামলা কোন নয়া মোড় নেয় সেটাই দেখার।