বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং জ্বালানী সঞ্চয় করার জন্য, কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় ব্যাটারি নীতি প্রস্তুত করছে। CNBC আওয়াজ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই এটিকে ক্যাবিনেটের কাছে মঞ্জুরির জন্য পাঠানো হব। এই পলিসিতে ভারত লিথিয়াম আয়ন ছাড়া সমস্ত রকমের অ্যাডভান্স কেমিস্ট্রি সেল তৈরি করার জন্য গীগা কারখানা গুলোকে ইনসেন্টিভ দেবে।
সরকারের তরফ থেকে দেওয়া এই ইনসেন্টিভ যোজনার মাধ্যমে ব্যাটারি বানানো দক্ষিণ কোরিয়ার এলজি কেমিক্যাল আর জাপানের প্যানাসনিক কর্পের সুবিধা হতে পারে। এছাড়াও ভারতে বৈদ্যুতিন যানবাহন বানানো কোম্পানি টাটা মোটরস আর মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা ও সুবিধা উপভোগ করতে পারবে।
লিথিয়াম আয়ন সমেত সমস্ত অ্যাডভান্স কেমিক্যাল সেল ব্যাটারি তৈরি করার জন্য সরকার কোম্পানি গুলোকে সাহাজ্য করবে। নীতি বাস্তবায়নের জন্য ভারী শিল্প মন্ত্রক দায়বদ্ধ থাকবে। জ্বালানী তেলের উপর নির্ভরতা কম করার জন্য আর দূষণ কমাতে সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। এছাড়াও দেশে ইলেক্ট্রিক বাহনের প্রচারের জন্য সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে অবাক করার বিষয় হল, এখনো ম্যানুফ্যাকচারিং আর চার্জিং স্টেশনের পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে না। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ জনসংখ্যার দেশে এখনো পর্যন্ত মাত্র ৩ হাজার ৪০০ ইলেক্ট্রিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে।
জাতীয় ব্যাটারি পলেসি অনুযায়ী দশ বছরে ৭১ হাজার কোটি টাকার খরচ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ২০৩০ এর মধ্যে ৬০৯ গিগাওয়াট শক্তি সঞ্চয়স্থান করার অনুমান করা হয়েছে। ২০২৫ এর মধ্যে ৫০ গিগাওয়াট এনার্জি স্টোরেজের ক্ষমতা সৃষ্টি করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে।