বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভবিষ্যতে গণপরিবহণে কেমন পরিবর্তন আসবে তা নিয়ে অনেক সময় অনেক কল্পনাই করা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক আধুনিকতা এসেছে ঠিকই, চমকপ্রদ বদলও হয়েছে, তবে এবার এল এক বড় আপডেট। জলের নীচ দিয়ে মেট্রো, বুলেট ট্রেনের পর এবার গণপরিবহণে জুড়ছে রোপওয়ে (Ropeway)! বিদেশ নয়, ভারতেরই এক শহরে চালু হতে চলেছে এই পরিষেবা।
গণপরিবহণে এবার রোপওয়ে (Ropeway) চালু হতে চলেছে
দেশের বিভিন্ন শহরে পর্যটন ক্ষেত্রে রোপওয়ে (Ropeway) জনপ্রিয়। কিন্তু তাই বলে গণপরিবহণ মাধ্যম? অবাক লাগলেও এবার এটাই হতে চলেছে সত্যি। জানা যাচ্ছে, বারাণসী শহরে এবার চালু হতে চলেছে রোপওয়ে (Ropeway) গণপরিবহণ মাধ্যম। শহর ভ্রমণের জন্য চালু হচ্ছে এই মাধ্যম। মনে করা হচ্ছে, এর জেরে যানজট যেমন কমবে, তেমনই পর্যটন ব্যবস্থাও ফুলেফেঁপে উঠবে। তবে পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও এই পরিষেবার সুবিধা নিতে পারবে বলে জানা যাচ্ছে।
কোথায় চালু হবে: যেমনটা জানা যাচ্ছে, বেনারস ক্যান্ট রেলওয়ে স্টেশনকে গোদালিয়া চকের সঙ্গে যুক্ত করবে রোপওয়ে। প্রায় ৩.৭৫ কিমি ব্যাপী পথ জুড়ে হবে এই রোপওয়ে। মনে করা হচ্ছে, এই রোপওয়ে (Ropeway) পরিষেবা চালু হয়ে গেলে সড়কপথে সফরের সময় ৪৫-৫০ মিনিট থেকে নেমে আসবে মাত্র ১৫ মিনিটে। চলতি বছরের মার্চ মাসেই ৩ কিমি জায়গায় একটি গন্ডোলা দিয়ে প্রথম ট্রায়াল রান করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ধীরে ধীরে ট্রায়াল রান আরও বাড়ানো হয়েছে এবং আরও গন্ডোলা যুক্ত করা হয়েছে। প্রায় তিন মাস ধরে পরীক্ষামূলক পরিষেবা চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : ৪০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে দাম! কেন্দ্রের ঘোষণায় এক ধাক্কায় সস্তা হতে পারে চারচাকা
কী কী ব্যবস্থা থাকছে: জানা গিয়েছে, ক্যান্ট, বিদ্যাপীঠ এবং রথযাত্রা এই তিনটি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেখানে লিফট, এসক্যালেটর, বিশ্রামাগার, পার্কিং, হুইলচেয়ারের মতো ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। থাকছে খাবার, পানীয় বা কেনাকাটার বন্দোবস্তও। প্রায় ৪৫-৫০ মিটার উচ্চতায় তৈরি হয়েছে রোপওয়েটি (Ropeway)। মোট ১৫০ টি গন্ডোলা থাকছে। এক একটি গন্ডোলায় ১০ জন যাত্রী থাকতে পারবেন। প্রতিদিন ১৬ ঘন্টা করে চালানোর মতো ব্যবস্থা হয়েছে এই রোপওয়েটি।
আরও পড়ুন : বিমান ধরার তাড়া? ইয়েলো-অরেঞ্জ-গ্রিন লাইনে প্রথম ও শেষ মেট্রো কখন? এল বড় আপডেট
২০২৩ সালে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ৮০৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এই প্রকল্পে। একবার চালু হতে গেলে বারাণসীর অন্যতম আকর্ষণ হবে এই রোপওয়ে, এতে সন্দেহ নেই।