বাংলাহান্ট ডেস্ক : উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। তাই এবার সেই বনগাঁ পুনরুদ্ধারে ওই সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব তিন বছর বিজেপির ঘর করে আসা অর্জুন সিংয়ের কাঁধেই দিল তৃণমূল। রবিবার অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই টিটাগড়ের দলীয় দপ্তরে তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয় দলের তরফে। সেখানে হাজির ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তাবড় নেতা নেত্রীরা। আর সেখানেই অর্জুন সিংকে এহেন নয়া দায়িত্ব সঁপেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
রবিবারই আবার তিন বছর পর তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি হয়েছে অর্জুন সিংয়ের। এরই মধ্যে এবার বিজেপির ডেরাতেই ঘাসফুল ফোটানোর দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে। উনিশের লোকসভায় বনগাঁয় হারতে হয়ে তৃণমূলকে। এরপর একুশের বিধানসভা ভোটেও ফল মোটেই আশাপ্রদ হয়নি। তাই এবার বনগাঁ উদ্ধারের দায়িত্ব দিয়ে রাক্ষসকুলে প্রহ্লাদ করে পাঠানো হচ্ছে অর্জুনকেই।
এদিনের এই বৈঠকে হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘বনগাঁর দায়িত্বটা অর্জুনের হাতে দিতে হবে। বনগাঁর দায়িত্বটা অর্জুন নেবে। তার মানে বুঝতে পেরেছেন তো? সাফাই করে দিতে হবে। এ জেলা থেকে সাফ করে দিতে হবে। ক্লিয়ার করে এর বেশি আমি আর বলছি না। পাঁচে পাঁচ এ জেলায় যেন হয় সেটা মনে রাখতে হবে।’
একই সুর শোনা গিয়েছে দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের গলাতেও। এদিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘একটা লোক সাংসদ। দীর্ঘদিনের বিধায়ক। সে দলে ফিরলে দল শক্তশালী হল না এটা কী করে বলি। আমরা হয়ত অনেকটা জায়গা কভার করেছিলাম। কিন্তু আমরা ভাটপাড়া ছাড়া বাকি সব বিধানসভাতেই জিতে নিয়েছিলাম।’
এদিন নতুন দায়িত্ব পেয়ে বিজেপির বিরুদ্ধেই ফুঁসে উঠেছেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিজেপি সাংসদ। অর্জুন সিংয়ের দাবি, ‘অনুগামীদের কথা তো ছেড়েই দিলাম, ব্যারাকপুরের বিজেপির ৯০% লোকজনই তৃণমূলে যোগ দেবেন।’ বলাই বাহুল্য, দলে যোগ দেওয়ার মাত্র একদিনের মধ্যেই অর্জুনের কাঁধে এহেন গুরুদায়িত্ব ছাড়াকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। তাঁদের দাবি, বাহুবলী সাংসদের দাপটকে কাজে লাগিয়ে এবার এক ধাক্কাতেই উত্তর ২৪ পরগনার এককাট্টা দখল চায় তৃণমূল। সেই মতন এহেন সিদ্ধান্ত ঘাসফুল শিবিরের।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট