বাংলাহান্ট ডেস্ক : জলপথে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি রপ্তানি করে থাকে ভারত (India)। বিভিন্ন দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য ক্ষেত্রে যোগা রয়েছে ভারতের। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল আমদানি করে দেশ। পালটা ওষুধ, চা, জামাকাপড়, নানা ধরণের যন্ত্রপাতি রপ্তানি করা হয় রাশিয়ায়। কিন্তু জলপথে কীভাবে ভারত (India) রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য হয় তা জানেন?
কীভাবে রাশিয়ার সঙ্গে হয় ভারতের (India) বাণিজ্য
প্রথমে মুম্বই থেকে আরব সাগর হয়ে তারপর জাহাজ ঢোকে লোহিত সাগরে। এরপর সুয়েজ খাল পেরিয়ে তারপর জাহাজ ঢোকে ভূমধ্যসাগরে। এরপর ভূমধ্যসাগর পার করে জিব্রাল্টার হয়ে যায় ইংলিশ চ্যানেল। এরপর নর্থ সি কে ছুঁয়ে বাল্টিক সাগর হয়ে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর পৌঁছায় বাণিজ্য জাহাজ।
কত সময় লাগে এই পথে: জানিয়ে রাখি, এই সমগ্র জলপথের দূরত্ব হল প্রায় ৮ হাজার ৭০০ নটিক্যাল মাইল। আর এই দূরত্ব পার করতেই সময় লেগে যায় ৪০ দিন, অর্থাৎ এক মাসেরও বেশি। আবার এই সমগ্র পথের মধ্যে সবথেকে জরুরি অংশটা হল লোহিত সাগর এবং সুয়েজ খাল। কারণ লোহিত সাগরে রয়েছে ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিদের তাণ্ডব। অন্যদিকে সুয়েজ খালে শিপ ট্রাফিকের সমস্যা থাকে অনেক বেশি। পাশাপাশি সুয়েজ খালের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে মিশরের হাতে। তারা প্রতি জাহাজ থেকে ৭০ হাজার ডলার করে আদায় করে। এমতাবস্থায় এবার খুলে গেল ভারত (India) রাশিয়ার বাণিজ্য জলপথের নতুন বিকল্প রুট।
আরো পড়ুন : বিশ্বের কাছে মুখ পুড়ছে ইউনূস সরকারের, অশান্তির দায় ভারতীয় মিডিয়ার উপরে চাপাল বাংলাদেশ
বিকল্প রুটে কীভাবে পৌঁছাবে জাহাজ: এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় জাহাজ চলাচল মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল জানান, নতুন বিকল্প রুটে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে জাহাজ চলাচল। এই রুটে কীভাবে চলবে জাহাজ? উল্লেখ্য, মুম্বই এর বদলে চেন্নাই থেকে ছাড়বে জাহাজ। পৌঁছাবে প্রশান্ত মহাসাগরে রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তক বন্দরে। এই বিকল্প রুটে পড়বে মালাক্কা প্রণালী, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ চিন সাগর এবং জাপান এর মতো জায়গা।
আরো পড়ুন : জনপ্রিয়তা পেয়েও ছেড়েছেন ইন্ডাস্ট্রি, এই অভিনেত্রীরা চিরতরে বিদায় জানিয়েছেন বলিউডকে
এখন প্রশ্ন হল, আগের রুট এবং এই বিকল্প রুটের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? উল্লেখ্য, এই নতুন রুটের মোট দূরত্ব হল ৫ হাজার ৬০০ নটিক্যাল মাইল। এই নতুন রুটে সময় লাগবে ২০ দিনেরও কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নতুন বিকল্প রুট ভারত (India) রাশিয়া বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় মাইলফলক হতে চলেছে। উপরন্তু ২০৩০ সালের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে টার্গেট সেট করা হয়েছে। ২০৩০ এর মধ্যেই ১০ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার টার্গেট সেট করা হয়েছে। এই বিকল্প রুটে বাণিজ্য আরো ফুলেফেঁপে উঠবে বলেই আশা করা হচ্ছে।