বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) নিয়ে আন্দোলনের ফলে সরকারি দপ্তরগুলিতে উপস্থিতির হার বেশ কম। অনেক জায়গা দেখা যাচ্ছে ১২টা বেজে গেলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তারা হাজির হননি অফিসে। এমন পরিস্থিতিতে উপস্থিতি নিয়ে নবান্ন (Nabanna) জারি করল নতুন নির্দেশিকা। কিছুদিন আগেই ছিল সরকারি কর্মচারীদের (Government Employees) ধর্মঘট (Strike)।
ধর্মঘটের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বেশ কিছু সরকারি দপ্তরে নিজে গিয়ে তদারকি করেন। খতিয়ে দেখেন উপস্থিতির হার। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী এমন করে উপস্থিতি তদারকি করতে যাননি। মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন দপ্তরে উপস্থিতির হার কম দেখে রীতিমত অসন্তুষ্ট হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে অফিসে সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশিকা জারি করতে বলেছেন।
সেই নির্দেশ মতো নবান্নের তরফ থেকে জারি করা হল নতুন নির্দেশিকা। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কর্মীদের দপ্তরের দশটা পনেরোর মধ্যে হাজির হতে হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কোনও কর্মী যদি সকাল দশটা পনেরোর মধ্যে হাজির না হন তাহলে তাকে লেট হিসাবে মার্ক করা হবে। এরকমভাবে তিনটি লেট মার্ক হলে কাটা যাবে একটা ক্যাজুয়াল লিভ। নয়া নির্দেশিকা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার কথা বলা হয়েছে কর্মচারীদেরকে।
কর্মীদের বেতনের উপর কোপ্ না পড়লেও এই ধরনের নতুন নির্দেশিকা বেশ অস্বস্তি বাড়িয়েছে কর্মচারীদের মধ্যে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলা শাসকদের সাথে একটি বৈঠক করেন গত বৃহস্পতিবার। সেখানেও তিনি হাজিরা নিয়ে কড়া বার্তা দেন। পাশাপাশি তিনি কর্তাদের নির্দেশ দেন যাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীরা সময়মতো কাজে আসেন। পাশাপাশি নিশ্চিত করতে বলা হয় কর্মীরা যাতে দপ্তরে অন্তত বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত হাজির থাকেন।
পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, এবার থেকে সব সরকারি দপ্তরে চালু হবে বায়োমেট্রিক উপস্থিত পদ্ধতি। অফিসে লগ ইন ও লগ আউট করতে হবে মুখের ছবি ও হাতের ছাপ দিয়ে। এই পদ্ধতি চালু হলে সরকারি কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছামত আর দপ্তরে আসা-যাওয়া করতে পারবেন না। যদিও নবান্নে আজ থেকে প্রায় আট বছর আগে এই বায়োমেট্রিক মেশিন বসানো হয়। কিন্তু এখনও তা শুরু করা হয়নি। চেষ্টা চালানো হচ্ছে অতি দ্রুত সেই মেশিন চালু করার।