২০ হাজার টাকার জামিনে মুক্ত কসবা ল কলেজ কাণ্ডের অভিযুক্ত, রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে গেলেন নির্যাতিতা

Published on:

Published on:

New twist in Kasba Law College gang rape case

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবা ল কলেজে (Kasba Law College) গণধর্ষণের মামলায় ফের নতুন মোড়। অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীর জামিনকে চ্যালেঞ্জ করে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতা ছাত্রী ও তাঁর পরিবার। নিম্ন আদালত যে জামিনের রায় দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে খবর সূত্রের।

কী ঘটেছিল কলেজে (Kasba Law College)?

প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন কসবার ওই আইন কলেজের (Kasba Law College) মধ্যে ঘটে যায় নারকীয় ঘটনা। অভিযোগ, কলেজেরই এক কক্ষে দরজা বন্ধ করে আইন পড়ুয়া এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতাকে হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এতে তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে।

নিরাপত্তারক্ষীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

ঘটনার সময় ডিউটিতে ছিলেন কলেজের (Kasba Law College) নিরাপত্তারক্ষী। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ওই রক্ষী সবকিছু জেনেও চুপ ছিলেন। তাঁর ভূমিকা নিয়ে তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে। অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হলেও, পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তারক্ষীকে অন্যতম অভিযুক্ত মনে করেনি আদালত।

তাই গত ১৩ অক্টোবর আলিপুর আদালতে এই মামলা ওঠে। শুনানিতে আদালত ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে নিরাপত্তারক্ষীকে জামিন দেয়। বিচারকের রায়ে উল্লেখ ছিল, একাধিক সাক্ষীর বয়ানে দেখা গিয়েছে ওই রক্ষী ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত নন। সেই কারণেই তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।

জামিন পাওয়ার পর নিরাপত্তারক্ষীর আইনজীবী জানান, “আমরা আদালতে কিছু তথ্য পেশ করেছি। উনি ভয়ে ছিলেন, তাই কিছু করার ছিল না। কলেজের অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরাও বলেছেন, তাঁর কিছু করার ছিল না। এখনও সম্পূর্ণ চার্জশিট জমা পড়েনি, সিসিটিভি ফুটেজও হাজির করা যায়নি।”

New twist in Kasba Law College gang rape case

আরও পড়ুনঃ ‘আগে ভোটাররা সরকার নির্বাচন করত, এখন সরকার ভোটার নির্বাচন করছে’, SIR ইস্যুতে একের পর এক বোমা ফাটালেন অভিষেক

তবে এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট নয় নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের দাবি, ঘটনাস্থলে (Kasba Law College) উপস্থিত থেকেও অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী দায় এড়াতে পারেন না। তাই তাঁর জামিন রদ করার আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। মামলার পরবর্তী শুনানি এখন আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায়।