বাংলাহান্ট ডেস্ক : আলিপুরে (Alipore) নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়। আরজিকর ধর্ষণ কাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নির মৃত্যুতে সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ আটক করেছিল বাবা ভোলা সিং এবং সৎ মা পূজা সিংকে। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে নাতনিকে খুনের অভিযোগ এনে থানার দ্বারস্থ হলেন মৃতার ঠাকুমা প্রতিমা সিং।
আলিপুর (Alipore) কাণ্ডে বড় অভিযোগ মৃতার ঠাকুমার
নিজের ছেলে এবং বৌমার বিরুদ্ধে নাতনিকে খুনের অভিযোগ এনেছেন তিনি। আলিপুর (Alipore) থানায় তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হয়েছে মামলা। অক্টোবরের প্রথম দিকে ১১ বছরের নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ভবানীপুরের বিদ্যাসাগর কলোনীতে। আলমারির ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ। ওই ঘটনায় (Alipore) তদন্ত শুরু হতে সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

কী অভিযোগ ঠাকুমার: জানা যায়, আরজিকর কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নি মৃতা নাবালিকা। বছর চারেক আগে তার মায়েরও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তারপরেই মৃতা স্ত্রীর বোন পূজাকে বিয়ে করেন ওই নাবালিকার বাবা। এদিকে মৃতার (Alipore) ঠাকুমা অভিযোগ করেন, ছেলের দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই নাতনির উপরে অত্যাচার শুরু হয়। নাতনি তাঁর কাছে আসতে চাইলেও তাঁকে আসতে দেওয়া হত না। তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হত না বাড়িতে। এমনকি নাবালিকাকে বেল্ট দিয়ে মারা হত বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : সবথেকে নীচে বাংলার স্থান, SIR এর জন্য বিএলএ দিতেই চাইছে না রাজনৈতিক দলগুলি! চিন্তায় কমিশন
অত্যাচারের অভিযোগ নাবালিকার উপরে: শুধু মৃতা নাবালিকার ঠাকুমা নয়, তার গৃহশিক্ষিকাও গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করা হত নাবালিকার (Alipore) উপরে। খেলতে যেতে না দেওয়া, দিনের পর দিন মারধর করা হত। রাতভর জাগিয়ে রেখে জোর করে পড়াশোনা করানো হত বলেও অভিযোগ এনেছেন গৃহশিক্ষিকা। পড়া না পারলে দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেওয়া হত, রেজাল্ট খারাপ হলে চলত অত্যাচার।
আরও পড়ুন : উৎসবের আবহে দুঃসাহসিক চুরি বেহালার কালীমন্দিরে! ভাঙচুর বিগ্রহ
উল্লেখ্য, মৃতদেহের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তবে এবার মৃতার ঠাকুমা খুনের অভিযোগ আনায় নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ঘটনার পুনর্গঠনের পাশাপাশি নতুন প্রমাণ সংগ্রহের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।













