বাংলা হান্ট ডেস্ক: মহাকাশ নিজের মধ্যেই এমন এক রহস্য যা যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর মানুষ চাইলেও সুরাহা করতে পারবেনা। উন্নত প্রযুক্তি সেখানে সর্বশক্তি দিয়ে করতে পারবেনা সুরাহা।সম্প্রতি মার্কিন প্ল্যানারি সাইন্স ইন্সটিটিউট ইন এরিজোনার গবেষণায় উঠে এল এক অবাক করা তথ্য। যে মঙ্গলে জলের জন্য এত খোঁজ,৩৫০ কোটি বছর আগে সেখানে নাকি ছিল আস্ত সমুদ্র, এমনকি সুনামির ভয়ঙ্কর ঢেউ ও উঠেছিল সেই সমুদ্রে। অবস্তবিক মনে হলেও সত্য। মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধে পাওয়া গেছে সমুদ্রের উপস্থিতির প্রমাণ।সেখানে কি লুকিয়ে আছে আরো কোনো রহস্যময়ী প্রাণের অস্তিত্ব ? তা নিয়ে আবারও আশা জেগেছে বিজ্ঞানী মহলে।জানা যাচ্ছে, দুটি উল্কাপিন্ডের আঘাতে কেঁপে উঠেছিলো পুরো মঙ্গলপৃষ্ঠ। কয়েক বিলিয়ন বছর আগের কথা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেই উল্কা জলে এসে পড়ায় বিশাল বিশাল ঢেউ সমুদ্র ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় উপকূলেও, যার ফলেই জলোচ্ছ্বাসের পর এক বিশাল এলাকাজুড়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।উল্কার আঘাতে যে ক্ষতস্থান তৈরি হয়েছে তা প্রায় ৭৫ মাইল লম্বা। আর এই সুনামির ক্ষত সম্প্রতি খুঁজে পেয়েচেন বিজ্ঞানীরা যা এখনও দৃশ্যমান মঙ্গল পৃষ্ঠে।গবেষকরা স্যাটেলাইট ডেটার ও ছবি দেখে বলছেন, এখন শুকনো হলেও এক সময় মঙ্গল ছিল উষ্ণ ও আর্দ্র। এটি পর্যবেক্ষন করে দেখা গিয়েছে, কয়েক বিলিয়ন বছর আগের ঐ সমুদ্রের জল ছিল লবণাক্ত।
গবেষণায় জানা গেছে, ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে গ্রহাণুর কারণে পৃথিবীতেও হয়েছিল সুনামি।১০০ মিটার মতো জলোচ্ছ্বাস হয়েছে ওই সুনামি তে।এই সুনামির ফলেই মেক্সিকো তে সৃষ্টি হয় গলফ অফ মেক্সিকো।