কালনায় পরীক্ষাকেন্দ্রে নোয়া বিতর্ক, সর্বভারতীয় পরীক্ষার নিয়ম জানিয়ে প্রশাসন বলল…

Published on:

Published on:

Newly married woman refuses to remove bangle skips SSC Exam in Kalna

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পরীক্ষা মানেই কড়া নিয়ম। আর সেই নিয়ম মানতে গিয়েই তৈরি হল বড় বিতর্ক। পূর্ব বর্ধমানের কালনায় এক সদ্যবিবাহিতা তরুণী রবিবার এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় (SSC Exam) বসতে গিয়ে জানিয়ে দেন তিনি হাতের নোয়া খুলবেন না। আর এই নিয়মেই অনড় থেকে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা না দিয়েই বেরিয়ে যান ওই পরীক্ষার্থী।

প্রসঙ্গত, রবিবার একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (SSC Exam) ছিল। কালনার হিন্দু গার্লস উচ্চ বিদ্যালয় ছিল পরীক্ষাকেন্দ্র। যথা সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ওই তরুণী ও তাঁর বান্ধবী পরীক্ষা দিতে পৌঁছন। কিন্তু প্রবেশের আগে তাঁদের জানানো হয়, “কোনও গ্যাজেট বা ধাতব কোনও কিছু সঙ্গে নিয়ে হলে ঢুকতে পারবেন না।” সঙ্গী বান্ধবী রাজি হলেও তরুণী জানিয়ে দেন, “নতুন বিয়ে হয়েছে আমার। হাতের নোয়া খুলব না। সধবা মেয়ে আমি। হাতের নোয়া কেন খুলব? এতে পরীক্ষা দিতে না পারলে, দেব না।”

ওই তরুণী শ্বশুরের সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসেন। তিনি বলেন, “আমার বউমা এখানে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। কিন্তু এখানে নাকি সিস্টেম, বলছে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় মেয়েদের হাতে কোনও চুড়ি থাকবে না। হাতের নোয়া পর্যন্ত খুলে ফেলতে হবে! একজন সদ্য বিবাহিত সধবা মেয়ে হাতের নোয়া কেন খুলবে? তাই সে খোলেনি।”

সর্বভারতীয় পরীক্ষার (SSC Exam) ক্ষেত্রে এই নিয়মই কার্যকর, জানিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন

শিক্ষা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এটি কালনার কোনও বিশেষ নিয়ম নয়, বরং সর্বভারতীয় পরীক্ষার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকর। পুরুষদের ক্ষেত্রেও বেল্টে ধাতব অংশ থাকলে খুলতে বলা হয়। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বলেন, শাঁখা-পলা খুলতে বলা হয়নি, শুধু নোয়া খুলতে বলা হয়েছিল কারণ সেটি ধাতব। SSC চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, “নিয়োগবিধির বিজ্ঞপ্তিতেই এই সমস্ত নির্দেশিকা দিয়ে দেওয়া ছিল। কী কী নিয়ে ঢোকা যাবে এবং কী কী নেওয়া যাবে না, সে বিষয়ে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতেও নির্দেশ দেওয়া ছিল।”

Supreme Court warns on Bihar voter list revision process

আরও পড়ুনঃ খেজুরির জোড়া রহস্যমৃত্যুতে নতুন মোড়, মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ হাই কোর্টের

এসএসসির এই পরীক্ষাকে (SSC Exam) ঘিরে তৈরি হওয়া ঘটনাটি আবারও সামনে এনে দিল পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ম ও ব্যক্তিগত বিশ্বাসের সংঘাত। নিয়োগ দুর্নীতি ঠেকাতে এবারের পরীক্ষার নিয়ম যথেষ্ট কড়াকড়ি করা হয়েছে, কিন্তু তার মধ্যে মিশে গিয়েছে ধর্মীয়ভাবাবেগ। তবে, পরীক্ষার সুযোগ হাতছাড়া হলেও নিজের বিশ্বাসের পক্ষেই দৃঢ় থাকলেন ওই তরুণী।