DA মামলার পরবর্তী শুনানি নিয়ে বড় আপডেট, মাথায় হাত বাংলার সরকারি কর্মীদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মীরা। দীর্ঘ আট বছরের এই লড়াইয়ের প্রায় সব জায়গাতেই জয়ী হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীরা। যদিও রাজ্য সেই দাবি মানতে নারাজ। সরকারি কর্মীদের বিরোধীতা করে রাজ্য পৌঁছায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দরবারে। তারপর থেকে সেখানেই ঝুলে রয়েছে মামলা। তারিখের পর তারিখ ঘোষণা হলেও মামলার শুনানি এখনও হচ্ছেনা।

গত ১৮ নভেম্বর, সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চে। তবে ৩১ নম্বর মামলা ওঠার পরই উঠে যান বিচারপতিরা। যেখানে ডিএ মামলাটি ছিল ৬০ নম্বরে। এমন আবহে প্রশ্ন উঠছে, ফের কবে ডিএ মামলার শুনানি শোনাবে সুপ্রিম কোর্ট? কারণ সামনেই দোলের ছুটি এবং তারপর মে মাসের সামার ভ্যাকেশন। এমন আবহে আগামী দু’মাস তো কোনোভাবেই শুনানি সম্ভব নয়।

মিডিয়া সূত্রে খবর মিলেছিল, আসন্ন এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ডিএ মামলার (DA Case) পরবর্তী তারিখ দিতে পারে শীর্ষ আদালত‌। তবে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ডিএ কেস স্টেটাসে গিয়ে ‘লিস্টিং ডেট’ সেকশনে দেখা যাচ্ছে তারিখ আরও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৫ জুলাই। অর্থাৎ ফের একবার ৪ মাস অপেক্ষা করতে হবে সরকারি কর্মচারীদের।

আরও পড়ুন : এবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাইয়ের বাড়িতে আয়কর হানা! গ্রেফতার হবেন? জল্পনা তুঙ্গে

1678425699 da

এই ডিএ মামলার ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, মামলাটি প্রথম শুরু হয় ২০১৬ সালে। প্রথমে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে ওঠে এই মামলা। এরপর সেখান থেকে মামলা পৌঁছায় কলকাতা হাইকোর্টে, এবং হাইকোর্ট থেকে পৌঁছে যায় সুপ্রিম কোর্টে। এই দীর্ঘ আট বছরে মাত্র একবারই জয় পেয়েছিল রাজ্য। এছাড়া প্রতিবারই সরকারি কর্মচারীদের হয়ে রায় দিয়ে এসেছে বিভিন্ন আদালত‌। আর এবার কেবল সুপ্রিম শুনানির অপেক্ষা।

আরও পড়ুন : কালবৈশাখীর তাণ্ডবে তছনছ দক্ষিণবঙ্গ! শনিবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টিতে তোলপাড় বাংলা: আবহাওয়ার খবর

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে মামলাটি ১০-এরও বেশি বার শুনানির জন্য উঠেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মামলার শুনানি হতে হতেও হয়ে ওঠেনি। মাত্র এক বারই দীর্ঘ সময়ের জন্য মামলাটি শোনা হয়। এত অপেক্ষার পর গত সোমবারও মামলাটি না ওঠায় হতাশ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। তবে একেবারেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন এমনটাও নয়।


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর