বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। প্রাক্তন বিজেপির রাজ্যসভাপতির মুখে শোনা গেল অস্ত্র হাতে নেওয়ার হুমকি। দেখানোর জন্য নয়, চমকানোর জন্য এবং প্রয়োজনে তার যা কাজ সেটাই হবে। মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরের এলআইসি মোড়ে বিজেপির শিক্ষক সেলের একটি পথসভায় যোগ দিয়ে একের পর এক রীতিমতো হুমকি দিয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ। এরপর আবার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, কেউ বাপের বেটা হলে তাকে গ্রেফতার করে দেখাক।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি এডভান্স এক বছর আগে বলে যাচ্ছি পরের বছর যদি এই পরিবেশ তৈরি করে কারণ তখন লোকসভা নির্বাচন থাকবে মে মাসে আর এপ্রিল বা মার্চ মাসে হবে রামনবমী। রামনবমী এবছরের থেকে আরো বড় হবে আগামী বছর। বেশি লোক নিয়ে করব। আর যদি আপনি সুরক্ষা দিতে না পারেন তাহলে দিলীপ ঘোষ তরবারি নিয়ে সামনে দাঁড়াবে। কোন বাপের বেটা আমাকে আটকায় দেখব। আমি পুরো সমাজকে বলব হাতিয়ার নিয়ে রাস্তায় নামতে। আর সেই তলোয়ারটা দেখানোর জন্য নয়, চমকানোর জন্য। আর তলোয়ারের যে কাজ, দরকার হলে সেটাই হবে।’
এর পর হুমকির ঢঙে তিনি বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ বলছে, পারলে এরেস্ট করে দেখাক। কোন বাপের বেটার দম আছে। দিলীপ ঘোষ খাটির গরুর দুধ খেয়েছে, তোদের মতন মাদার ডেয়ারির দুধ খায়নি যে রক্ত জল হয়ে গিয়েছে। মনে করবেন না কয়েকটা লোককে খেপিয়ে দিয়ে আমাদের ধর্ম কর্ম বন্ধ করে দেবেন। যুগ যুগ ধরে আমরা ধর্ম কর্ম করে এসেছি। আমার পূর্বপুরুষরা থেকেছে আমার উত্তর পুরুষরাও এখানে থাকবে। তাই রামনবমীও হবে কৃষ্ণ জন্মজয়ন্তীও হবে।’
দিলীপবাবু এদিন আরও বলেন, ‘এখানকার হিন্দু সমাজকে ভয় দেখিয়ে আক্রমণ করে বাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে উৎসব হলে রাস্তায় কেউ না বেরায়, মেলায় না যায়, বিয়ের শুভযাত্রায় না বেরোয়, দুর্গাপূজা, কালী পূজা, সন্তোসী পূজা, নীল পুজো থেকে শুরু করে আমরা অন্যান্য যে পুজোতে শোভাযাত্রা বের করি সেগুলো যাতে বন্ধ হয়ে যায়। এভাবেই বন্ধ করে দেশকে বিভাজন করা হয়েছিল তাই প্রত্যেকটি উৎসবেতে ঢিলপাটকেল দিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া চেষ্টা করেছে।’
তিনি আরপ বলেন, ‘আমি প্রতিবাদ করছি, অনেকে হয়তো কষ্ট নিয়ে বেরিয়েছি আমি এখানে ঘোষণা করছি যদি এরকম বারবার আক্রমণ হয় হিন্দু সমাজের উপরে, আজ খালি হাতে বেরিয়েছিলাম কাল ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থন থাকবে এবং হিন্দুরা হাতিয়ার নিয়েই রাস্তায় বেরোবে। কারো দম থাকলে আটকাক। আমাদের বাড়িতেও অস্ত্র আছে। কারণ প্রত্যেকটি দেবী দেবতাদের হাতেই অস্ত্র আছে। অস্ত্র দিয়েই তাদের পুজো হয়।’