মৃত্যুদণ্ডের সাজা হতে পারে ইয়াসিন মালিকের! কোমর বেঁধে নামল NIA, আজই ঘোষণা হবে রায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইয়াসিন মালিকের ফাঁসির রায় চাইছে ন্যাশানাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা এনআইএ। সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ জোগান মামলা দোষী সাব্যস্ত করার পরে ইয়াসিন মালিককে দিল্লির একটি এনআইএ আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে দোষী সাব্যস্ত করেছে। মালিক এর আগে মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

এনআইএ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয় ইয়াসিন মালিকের আর্থিক অবস্থার মূল্যায়ন করতে হবে এবং ২৫ মে শাস্তির পরিমাণ নিয়ে যুক্তি শোনা হবে। সূত্র অনুসারে, ইয়াসিন মালিককে শুনানির পরবর্তী তারিখের মধ্যে তার আর্থিক সম্পদের একটি নোটিশও জমা দিতে বলা হয়।

১০ মে, মালিক দিল্লির একটি আদালতের সামনে কঠোর বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন সহ অন্যান্য আরও অভিযোগের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। মালিকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ এর ধারা ১৮ (সন্ত্রাসী কাজ করার ষড়যন্ত্র), এবং ২০ (সন্ত্রাসী গ্যাং বা সংগঠনের সদস্য হওয়া) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং ১২৪-এ (রাষ্ট্রদ্রোহ) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছিল।মামলাটি ছিল ২০১৭ সালে কাশ্মীর উপত্যকায় ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত।

ইয়াসিন মালিক একজন কুখ্যাত কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা এবং প্রাক্তন জঙ্গি। জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের চেয়ারম্যান হিসাবক মালিক মূলত কাশ্মীর উপত্যকায় সশস্ত্র জঙ্গিবাদের নেতৃত্ব দিত। যদিও বরাবর মালিক দাবি করে এসেছে সে নাকি ১৯৯৪ সালে সহিংসতা ত্যাগ করে এবং কাশ্মীর সংঘাতের সমাধানে আসার জন্য শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি গ্রহণ করে।

মালিক আরও দাবি করে, শৈশবে সে নাকি ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা রাস্তায় চালানো হিংসা দেখেছে। ১৯৮০ সালে, সেনাবাহিনী এবং ট্যাক্সি চালকদের মধ্যে বিবাদ দেখার পরই সে নাকি বিদ্রোহী হয়ে গিয়েছিল। তালা পার্টি নামে একটি দল গঠন করে, যা আদতে ছিল একটি বিপ্লবী ফ্রন্ট। তার দল শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট ম্যাচ ব্যাহত করার চেষ্টাতেও জড়িত ছিল। শ্রীনগরে ন্যাশনাল কনফারেন্স সমাবেশে ব্যাঘাত ঘটাতে এবং মকবুল ভাটের ফাঁসির প্রতিবাদেও মালিককে গ্রেপ্তার করে চার মাস আটকে রাখা হয়েছিল।

১৯৮৬ সালে মুক্তি পাওয়ার পর, মালিককে সাধারণ সম্পাদক করে তালা পার্টির নাম পরিবর্তন করে ইসলামী ছাত্র লীগ রাখা হয়। আইএসএল একটি গুরুত্বপূর্ণ যুব আন্দোলন হয়ে ওঠে। এর সদস্যদের মধ্যে ছিল আশফাক মাজিদ ওয়ানি, জাভেদ মীর এবং আবদুল হামিদ শেখ। এত অপরাধের পর ইয়াসিন মালিকের সর্বোচ্চ কী সাজা হতে পারে তা কোর্টের রায়ের পরই জানা যাবে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে শুরু করে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে বলে সূত্র মারফত খবর।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর