৪০০ কোম্পানি দেয়নি চাকরি! আজ পাচ্ছেন জুকেরবার্গের থেকে বেশি বেতন, চমকে দেবে নিকেশের কাহিনি

Published on:

Published on:

Nikesh Arora's Success Story will surprise you.
Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের নিকেশ অরোড়া আজ বিশ্বজুড়ে সাফল্যের (Success Story) এক উজ্জ্বল উদাহরণ। বলা হয়, যদি কেউ নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পরিশ্রম করে, তবে সাফল্য একসময় নিজেই তার দরজায় কড়া নাড়ে। নিকেশের জীবন সেই কথার বাস্তব প্রমাণ। একসময় যাকে আমেরিকার প্রায় ৪০০ কোম্পানি ফিরিয়ে দিয়েছিল, সেই নিকেশ আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত সিইওদের তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছেন। গুগলের সুন্দর পিচাই ও মেটার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গকেও তিনি বেতনের দিক থেকে পেছনে ফেলেছেন।

নিকেশের অসাধারণ সফলতার কাহিনি (Success Story):

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে নিকেশ অরোড়া পেয়েছেন ১৫.১৪ কোটি ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১,৩০০ কোটি টাকার প্যাকেজ। তিনি বর্তমানে বিশ্বখ্যাত সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি প্যালো অল্টো নেটওয়ার্কস-এর সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই বেতনই তাকে বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত সিইও করে তুলেছে। একই বছরে মার্ক জুকারবার্গ পেয়েছিলেন ২.৪৪ কোটি ডলার এবং গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই পেয়েছিলেন ৮.৮ মিলিয়ন ডলার, যা নিকেশের তুলনায় অনেক কম (Success Story)।

আরও পড়ুন:দিল্লিতে নয়া আতঙ্ক! ১০,০০০ বছর পর সক্রিয় আগ্নেয়গিরির ‘বিষ বায়ু’ ধেয়ে আসছে রাজধানীর দিকে

গাজিয়াবাদের একটি সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া নিকেশের শৈশব কেটেছে শৃঙ্খলার মধ্যে। তাঁর বাবা ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার কর্মকর্তা, ফলে পরিবারকে বারবার স্থানান্তরিত হতে হয়েছে। ছোটবেলাতেই বিভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ও সততা তাঁর স্বভাবের অংশ হয়ে ওঠে। তিনি দ্য এয়ার ফোর্স স্কুল থেকে পড়াশোনা করে পরে আইআইটি–বিএইচইউ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না থাকলেও তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মাত্র ১০০ ডলার সঙ্গে নিয়ে ১৯৯০ সালে তিনি আবেদন করেন এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে, যারা ফি মওকুফ করত। বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি তাঁকে বৃত্তি দেয় এবং সেখানে তাঁকে কম্পিউটার সায়েন্স পড়ানোর সুযোগও মেলে (Success Story)।

কোর্স সম্পন্ন করার পর তাঁর চাকরির আবেদন একের পর এক প্রত্যাখ্যাত হতে থাকে—মোট ৪০০ বার। কিন্তু প্রতিবারই তিনি আরও দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সামনে এগিয়ে যান। শেষমেশ ১৯৯২ সালে তিনি ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টসে ট্রেনি হিসেবে যোগ দেন। পরিশ্রম ও দক্ষতার কারণে অল্প সময়েই তিনি ফিডেলিটি টেকনোলজিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত হন। পাশাপাশি তিনি এমএস ও সিএফএ কোর্স সম্পন্ন করেন। এ যোগ্যতা তাঁকে ২০০৪ সালে গুগলে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এনে দেয় (Success Story)।

Nikesh Arora's Success Story will surprise you.

আরও পড়ুন: সম্পন্ন হল রাম মন্দির নির্মাণের কাজ! বিবাহ পঞ্চমীর পূণ্য তিথিতে সর্বোচ্চ চূড়ায় ধ্বজা উত্তোলন প্রধানমন্ত্রীর

২০১৪ সালে নিকেশ গুগল ছেড়ে সফটব্যাঙ্কে যোগ দেন এবং সেখানে সভাপতি ও সিওও হিসেবে কাজ করতে করতে বিনিয়োগের খুঁটিনাটি শিখে নেন। চার বছর পর, ২০১৮ সালে তিনি প্যালো অল্টো নেটওয়ার্কস-এর সিইও হন। তখন কোম্পানিটির মূল্য ছিল ১৮ বিলিয়ন ডলার। তাঁর নেতৃত্বে সেই কোম্পানির মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ বিলিয়ন ডলারে। শুধু নিজের ক্যারিয়ার নয়, পুরো শিল্পখাতেই নিকেশ অরোড়া আজ দৃঢ়তা, মেধা ও নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রমের এক অনন্য প্রতীক।