বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক বছর হতে চলল আলাদা থাকছেন নুসরত জাহান (nusrat jahan) ও নিখিল জৈন (nikhil jain)। গত বছরের শেষের দিক থেকেই দুজনের দাম্পত্যে ফাটলের কথা প্রকাশ্যে আসে। যদিও এ বছরে এসে সাংসদ অভিনেত্রী ঘোষনা করেন, আদৌ দাম্পত্য সম্পর্কে ছিলেন না তাঁরা। এক বছর ধরে সহবাস করেছেন মাত্র। কিন্তু সেই সম্পর্কও ভেঙে ফেলতে হল কেন তা নিয়ে কখনোই স্পষ্ট করে কিছু জানাননি নুসরত নিখিল। তবে সাংসদ অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে যে খবর উঠে আসছে তা বিষ্ফোরক।
সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরপরই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নুসরত। তুরস্কে রাজকীয় বিয়ে সারেন নিখিলের সঙ্গে। কিন্তু তার পরপরই মোহ কাটে অভিনেত্রীর। নিখিল নাকি ‘চাহিদা’ পূরণ করতে পারছিলেন না নুসরতের। বেশিরভাগ দিনই নাকি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে বাথরুমেই ঘুমিয়ে পড়তেন নিখিল।
পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে এগোয় যখন নুসরত জানতে পারেন তাঁর স্বামী উভকামী। এমনি খবর মিলেছে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে। নিখিলের ‘সঙ্গী’রা নাকি নুসরতের ভাল বন্ধু ছিলেন। নিখিলের জন্মদিনের রাতে এমনি একজনের সঙ্গে নাকি স্বামীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন অভিনেত্রী। এই ঘটনায় মারাত্মক মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন।
নিখিলের জন্মদিনের ঠিক পরপরই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় নুসরতকে। সে সময় খবর রটেছিল, অত্যধিক ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন সাংসদ। এমনকি অনেক রূপান্তরকামীর সঙ্গেও নাকি সম্পর্ক ছিল নিখিলের। এর জেরেই নাকি ‘বিয়ে’ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন নুসরত। যদিও পুরো বিষয়টাই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন নিখিল। তাঁর দাবি, তিনি সম্পূর্ণ স্ট্রেট। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই লাইমলাইটে থাকতে মিথ্যে গসিপ বানায়।
গত বছর পুজোর পর থেকে নুসরত যশের ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত মিলতে শুরু করে। শোনা যায় তার আগেই নিখিলের বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন নুসরত। তারপরেই নভেম্বরে পাকাপাকি ভাবে নিখিলকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু তাঁদের বিয়েকে সহবাস আখ্যা দেওয়ার বিষয়ে নুসরত সাফাই দিয়েছেন, নিখিল যে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন তাতে সহবাসই লেখা ছিল। তাঁর মন্তব্যকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।