বাংলাহান্ট ডেস্ক: নুসরত জাহান (nusrat jahan)-নিখিল জৈন (nikhil jain) বিয়ে বিতর্কের সম্প্রতি অবসান ঘটেছে। নিখিলের দাবিকে সমর্থন করেই তুরস্কে তাঁদের বিয়েকে ‘অবৈধ’ বলে রায় দিয়েছে আলিপুর আদালত। প্রাক্তন ‘স্ত্রী’র বিরুদ্ধে জিত হয়েছে নিখিলেরই। কিন্তু এখনো তাঁর মনে প্রাণে নুসরত। এত বিতর্কের পরেও একসময়ের সঙ্গীনিকে কিছুতেই ভুলতে পারছেন না নিখিল।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার ও নুসরতের সম্পর্ক আর নেই ঠিকই, কিন্তু আমি এখনো নুসরতকেই ভালবাসি”। তবে তাঁর ভালবাসার নুসরত আজকের যশ-সঙ্গিনী নন। নিখিল বলেন, তিনি যে নুসরতকে ভালবেসেছিলেন, যে নুসরত তাঁর মনে প্রাণে এখনো রয়েছেন সেই নুসরতের আর এখনকার নুসরতের কোনো মিল নেই। এই নুসরতকে তিনি চেনেন না।
তবে তিনি এও বলেন, নুসরত ভাল থাকুক এটাই তিনি সবসময় চান। তাঁর কথায়, “ও অন্যের সঙ্গে থেকেছে, সন্তান হয়েছে ওদের, আমি কোনোদিনই কিছু বলিনি।” এর আগে নুসরতের সন্তান জন্মের পর ছোট্ট ঈশানকেও আশীর্বাদ করেছিলেন নিখিল।
নিখিলের জন্মদিনের দিনই বেরিয়েছিল মামলার রায়। সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিখিল জানিয়েছিলেন, এটাই জন্মদিনে তাঁর সেরা উপহার। এতদিনে অনেকটাই শান্তি পেয়েছেন তিনি। তুরস্কে ধুমধাম করে রাজকীয় বিয়ে হওয়া সত্ত্বেও নুসরত দাবি করেছিলেন, তাঁদের নাকি বিয়েই হয়নি। এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদের প্রস্তাবেও রাজি হননি নুসরত। তাঁর দাবি ছিল, ভারতীয় আইনে তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা এতদিন সহবাস করেছেন। যে বিয়েটাই হয়নি তার বিচ্ছেদ কীসের?
নুসরত দাবি করেছিলেন, তিনি নিজে ‘সহবাস’ এর কথা বলেননি। নিখিল যে ডিভোর্স পেপার তাঁকে পাঠিয়েছিলেন তাতেই লেখা ছিল ‘সহবাস’ কথাটি। তিনি সেটাই বলেছেন। নিখিলের কথাকে তাঁর কথা বলে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নুসরত।
নুসরত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, তুরস্কে নিখিল ও তাঁর বিয়ে নাকি এদেশের মতে আইনত সিদ্ধ নয়। উপরন্তু কোনো রেজিস্ট্রিও হয়নি তাঁদের বিয়ের। যদিও নিখিল দাবি করেছেন, তিনি বহুবার নুসরতকে রেজিস্ট্রি করতে বললেও সেকথা কানে তোলেননি নুসরত। বিচ্ছেদ শেষে এখন নিজের ব্যবসার কাজের প্রতি মনোযোগ দিয়েছেন নিখিল।