বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি। এই সূত্রে রবিবার সকালেই ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়ে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠিতে একদিকে যেমন ছিল রাজ্যকে সাহায্যের আর্জি। তেমনি অন্যদিকে ছিল বেশ কিছু দাবিও। বিশেষত এই ভয়ানক কোভিড পরিস্থিতিতে কোভিড সরঞ্জাম, অক্সিজেন এবং ওষুধের ওপর কর ছাড় দিতে কেন্দ্র সরকারকে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলের মধ্যেই রীতিমত রণং দেহি মূর্তিতে ১৬ টি টুইটের মাধ্যমে মমতার চিঠির জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
যেখানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেসব প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের ওপর ছাড়ের কথা বলছেন তার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আগে থেকে ছাড় দিয়ে রখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম টুইটেই তিনি বলেন, জিএসটি, কাস্টমস ডিউটি ও অন্যান্য কয়েকটি করোনাভাইরাসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ওষেধের ওপর কর ছাড় চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিম্নলিখিত পনেরোটি টুইটে তিনি তার জবাব দেবেন। শুধু তাই নয় মমতা যে বিষয়গুলি নিয়ে অনুরোধ করেছেন তা মিলিয়ে নিতেও অনুরোধ করেন তিনি।নিজের দ্বিতীয় টুইটে তিনি জানান, চলতি বছরের ৩ মে কোভিডের সঙ্গে সংযুক্ত ত্রাণ ও সামগ্রী আমদানির ওপর আইজিএসটি ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। শুধু তাই নয়, এসমস্ত সামগ্রী দেশে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য কর ছাড় দেওয়া হয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে এই বার্তায় নির্মালা আরো বলেন, রেমডেসেভির ইনজেকশন ও তার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক অমদানির জন্য শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে সরকার তরফে। ছাড় দেওয়া হয়েছে তরল অক্সিজেন, অক্সিজেন উৎপাদন, স্টোরেজ ও পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামের ওপরেও।শুধু তাই নয়, করোনা ভ্যাকসিন ও ডায়াগনস্টিক কিটের ওপরেও শুল্ক ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের চিঠির জবাবে আরও যোগ করে নির্মালা বলেন, কোন রাজ্য সরকার বা স্ব-শাসিত সংস্থা যদি বিনামূল্যে সংশ্লিষ্ট দ্রব্যগুলি আমদানি করতে চান, সেক্ষেত্রেও ছাড় প্রযোজ্য থাকবে। সংশ্লিষ্ট দ্রব্যগুলি সহজলভ্য করার জন্য বাণিজ্যিক আমদানিতে বুনিয়াদি শুল্ক ও স্বাস্থ্য সেসের ওপরেও ছাড় দিয়েছে সরকার। অভ্যন্তরীন সরবরাহ ও বাণিজ্যিক আমদানিতে ভ্যাকসিনের ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি ও করোনার ওষুধ, অক্সিজেন কনসেন্টেটরের ওপর ১২ শতাংশ হারে জিএসটি রয়েছে। যদি সম্পূর্ণ জিএসটি ছাড় দেওয়া হয়, তাহলে আইটেমগুলোর ক্ষেত্রে উৎপাদকরা প্রদেয় করের অপসেট করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে গ্রাহকদের তা আরো বেশী দামে কিনতে হবে। নির্মলা দাবি করেন, এখনো পর্যন্ত ৪৫ বছর বয়সী এবং তার উর্ধে সমস্ত মানুষ ও কোভিডের ফ্রন্টলাইন কর্মীদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান করেছে সরকার। ভ্যাকসিন থেকে সংগৃহীত জিএসটির ৪১% রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।.