বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমা থেকে পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) তুলে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের পকেটের চাপ কমাতে এই পদক্ষেপ কার্যকর হতে চলেছে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে। তবে প্রশ্ন উঠেছে যে, এটি কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগের ফল, নাকি জিএসটি কাউন্সিলের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত?
জীবন বীমা ও স্বাস্থ্য বীমা থেকে জিএসটি (GST) তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বছর খানেক আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। তাতে দাবি করা হয়েছিল, জীবন ও স্বাস্থ্যবিমা থেকে জিএসটি (GST) তুলে নেওয়া হোক। এবার সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ায় তৃণমূল দাবি করছে, মমতার পরামর্শেরই জয় হয়েছে।
শনিবার এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্মলা সীতারমণ জানান, জিএসটি (GST) সংস্কার একক কোনও ব্যক্তির কৃতিত্ব নয়। তিনি বলেন, “জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক শেষে আমি প্রথমেই সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও অত্যন্ত সুচিন্তিত ভাবে নিজের বক্তব্য রেখেছেন।” এই প্রসঙ্গে তিনি মহিলা নেত্রীদের প্রতি সম্মানের কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
৩ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রী দীর্ঘ আলোচনার পরে একমত হন বিমায় জিএসটি (GST) শূন্য করার বিষয়ে। আগে জীবন ও স্বাস্থ্যবিমায় ১৮ শতাংশ কর ধার্য ছিল। নতুন কাঠামোয় সেই চাপ থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পাবেন। সরকারের দাবি, এতে মানুষের বিমার প্রতি আগ্রহ বাড়বে এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা সহজলভ্য হবে।
প্রসঙ্গত, জীবন বিমায় জিএসটি (GST) মকুবকে কেন্দ্রীয় সরকার ঐক্যমতের সাফল্য হিসেবেই তুলে ধরছে। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে কৃতিত্বের দাবি নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন তরজা। বিরোধীরা বলছে, মমতার চাপেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কিন্তু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই সিদ্ধান্ত দেশের সব অর্থমন্ত্রীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল।