বাংলাহান্ট ডেস্ক:এই মুহূর্তে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি যে বিপাকে সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। দেশের আর্থিক সংকট সাধারন মানুষকে বারবার ভাবাচ্ছে । আর্থিক মন্দার কারণে আমআদমি থেকে শিল্পপতি কেউই ঋণ নেওয়ার কথা ভাবছেন না এই মুহূর্তে । এমনকি আগে থেকে যারা ঋণ নিয়েছিলেন তারাও এখনও সময়মতো শোধ দিতে না পারায় আর্থিক সুচক ক্রমশ নিম্নগামী হতে বসেছে।
আর এই পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা খানিকটা জড়িয়ে পড়েছে ।এর মধ্যে সিএএ,এনআরসি এবং এনপিআর এসব কিছু নিয়ে দেশের আবহাওয়া সরগরম। জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য এবং কৃষকদের আত্মহত্যা ,একের পর এক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া এসবকিছু জানান দিচ্ছে ভারতের পরিস্থিতি সংকটজনক । এর মধ্যে আবার কিছুদিন আগেই রিসার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে বিগত ছয় বছরে এরকম খারাপ দিন আসেনি। এই বিষয় নিয়ে সমস্যার সুরাহা করার জন্য ব্যাঙ্কের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ।
আর চলতি বছরের (২০১৯-২০২১)অর্থনৈতিক বাজেট পেশ করার জন্য তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানান যে ১লা ফেব্রুয়ারি বাজেট প্রকাশ করা হবে। বৃহস্পতিবার দিল্লীর নীতি আয়োগের দফতরে এই বৈঠক সম্পন্ন হয়। এই বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। মার্চ, ২০১৯ সালে শেষ হওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের জিডিপি ছিল ৬.৮ শতাংশ। এমনকি বেকারত্বের হার ক্রমশই বেড়ে চলছে।
এখানেই শেষ নয় সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে দেশকে ৫ ট্রিলিয়িন ডলারের অর্থনীতির দেশ করার। এছাড়াও বর্তমান অর্থ বর্ষের বাজেটের ঘাটতি হবে ৩.৮ শতাংশ জিডিপি , যা ৩.৩ শতাংশের লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর আইন অনুযায়ী সরকারের এই অনুমতি রয়েছে সর্বোচ্চ অর্ধেক শতাংশ এই লক্ষ্যকে বাড়ানোর। তাই চলতি বছরের বাজেটের নিরিক্ষে বদলাতে পারে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি।