ভোট প্রচার নাকি বক্সিং রিং? নিশীথ-উদয়নের হাতাহাতিতে মাথা ফাটল SDPO-র, অগ্নিগর্ভ দিনহাটা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : একদিকে মেঘের তর্জন গর্জন অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজ্য মন্ত্রীর উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডায় সরগরম দিনহাটা (Dinhata)। বৃষ্টি ভেজা বসন্তে কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি কোচবিহারে। প্রকাশ্য রাস্তায় একে অপরের দিকে তেড়ে এলেন নিশীথ প্রামাণিক এবং উদয়ন গুহ! কী এমন ঘটল যে দুই মন্ত্রী এমন রণমূর্তি ধারণ করলেন?

এইদিন তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দুই মন্ত্রী এবং তার নিরাপত্তারক্ষীদের হাতাহাতিতে মাথা ফেটেছে এসডিপিও-র। স্থানীয় সূত্রে খবর, এইদিন প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। পথে তার গাড়ি আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কর্মীরা।

এইদিন নিশীথের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। প্রাথমিকভাবে তাদের সরানোর চেষ্টা করা হলেও পরে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে নিশীথের নিরাপত্তারক্ষীরা এবং তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। নিমেষেই তা পৌঁছে যায় হাতাহাতির পর্যায়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে খোদ মন্ত্রীরাও।

আরও পড়ুন : কালবৈশাখীর তাণ্ডবে তছনছ দক্ষিণবঙ্গ! শনিবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টিতে তোলপাড় বাংলা: আবহাওয়ার খবর

প্রকাশ্য রাস্তায় এইভাবে দুই মন্ত্রীর হাতাহাতি কবে দেখেছে, বাংলা ঠিক মনে করতে পারছে না। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা বাংলা। এদিকে দু’পক্ষই দুষছে একে অপরকে। একদিকে বিজেপির দাবি, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা তাদের উপর চড়াও হয়েছে অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, উদয়ন গুহর উপর হামলা করেছে বিজেপি। ঘটনা যাই হোক না কেন, এরকম প্রকাশ্য রাস্তায় দুই জনপ্রতিনিধির এই আচরণ কী মেনে নেওয়া যায়? প্রশ্ন তুলছে আম জনতা।

dinhata 1

উল্লেখ্য, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই সেখানে হাজির হন খোদ এসডিপিও ধীমান মিত্র। সূত্রের খবর, দুই মন্ত্রীর হাতাহাতি থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন তিনিও। ঘটনা প্রসঙ্গে নিশীথ প্রামাণিকের দাবি, ‘উদয়ন গুহ ওনার গুন্ডাদের নিয়ে এগিয়ে আসেন। হুমকি দিতে থাকেন। একজন জনপ্রতিনিধি কীভাবে এই কাজ করেন। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী এসে আমার কনভয়ে হামলা করেছে। আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি নিয়ে আক্রমণ করেছে। যদিও বুলেট প্রুফ গাড়ি বলে কিছু হয়নি।’

আরও পড়ুন : অপেক্ষার প্রহর শেষ! বুলেট ট্রেন চলবে কবে? দিন ঘোষণা করে দিলেন রেলমন্ত্রী

উদয়নের পাল্টা দাবি, ‘আমি যখন গাড়িতে উঠব সেই সময় দেখি নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় আসেছে। সে মুখ বের করে কী কী সব বলল। তখন আমাদের ছেলেরা জয় বাংলা বলতে থাকে। গাড়ি থেকে দুই মহিলা ও জেলা সভাপতি বাঁশ দিয়ে যাকে পারছে মারছে। তীর ছুড়ছে। এমনকী কেন্দ্রীয় বাহিনী পুলিশকে পর্যন্ত মারছে।’ সূত্রের খবর, গতকাল রাস্তা অবরোধ করেছিল বিজেপি‌। আজ বন্ধ ডেকেছে তৃণমূল। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনা দেখে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, ভোটের আগেই যদি এই অবস্থা তাহলে ভোটের পর কী হবে?


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর