বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কখনো তিনি প্রকাশ্যে রাজনীতি ছাড়া প্রসঙ্গে মত প্রকাশ করেন, তো কখনো আবার বিরোধীদের বিঁধে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য। এ সকলের মাধ্যমেই বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari)। সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) নাগপুরে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন একইভাবে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্ক উস্কে দিলেন তিনি। নাগপুরের অনুষ্ঠান থেকে গড়করির দাবি, “আইন ভাঙার অধিকার রয়েছে সরকারের। আমলাদের কাজ হওয়া উচিত, কেবলমাত্র মন্ত্রীদের কথা শোনা এবং তাদেরকে ‘ইয়েস স্যার’ বলা।” তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা দেশে। তবে কি কারনে বিজেপি মন্ত্রীর এহেন মন্তব্য?
সম্প্রতি, নাগপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন বিজেপি নেতা নীতিন গড়করি। সেখানে ‘গরিব কল্যাণ’ প্রসঙ্গ উঠে আসে তাঁর গলায়। এই সূত্র ধরে গড়করি বলেন, “দেশে যে সকল গরিব মানুষ রয়েছেন, তাদের কল্যাণ করার জন্য কোন আইন বাধার কারণ হতে পারে না। যদি এক্ষেত্রে কোন আইন সমস্যার সৃষ্টি করে, তবে তা ভেঙে দেওয়ার অধিকার রয়েছে সরকারের। এরকম আইন যদি ১০ বার ভাঙতে হয়, তাহলে আমরা সংকোচ করব না। মহাত্মা গান্ধীও এই প্রসঙ্গে বলেছেন।”
একইসঙ্গে মহারাষ্ট্রের এহেন একটি পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, “১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্রে এহেন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী পদে নিযুক্ত ছিলেন মনোহর জোশী। শুধুমাত্র অরণ্য আইনের কারণে এলাকায় অসংখ্য আদিবাসী বাচ্চারা অপুষ্টিতে ভুগে চলেছিল। তাই এ সকল আইন যদি ভাঙতে হয়, তাহলে তা থেকে পিছানো উচিত নয়।”
এর পরেই আমলা প্রসঙ্গে বিজেপি মন্ত্রী জানান, “আমলারা যা বলবে, সেভাবে কাজ করা উচিত নয়। আমি এই প্রসঙ্গে তাদেরকে একাধিকবার বলেছি। আমলাদের দায়িত্ব হলো, মন্ত্রীদের নির্দেশ মেনে চলা এবং তাদের সকল কথাতে ‘ইয়েস স্যার’ বলা। আমরা সরকার চালাবো।” একই সঙ্গে, গতকালের অনুষ্ঠানে পথ দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ উঠে আসে গড়করির গলায়। তিনি জানান, “বর্তমানে যেভাবে পথ দুর্ঘটনায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়ে চলেছেন, ২০২৪-এর মধ্যে দেশে সেই সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। সেই জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।”