বাংলা হান্ট ডেস্ক : দিল্লির দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে (Delhi Dwarka Express Way) গত কয়েকদিন ধরেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। কয়েক দিন আগেই দেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (Cromptoller and Auditor General) এর নির্মাণ ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর পর কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari) বলেন এই এক্সপ্রেস ওয়ের নির্মাণ ব্যয় অনুমানের চেয়ে ১২ শতাংশ কম। এদিন তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেই ভিডিওতে এক্সপ্রেসওয়ের কিছু ছবি তিনি শেয়ার করেন।
এক্সপ্রেসওয়ের একাধিক গুণাবলীও ভিডিওটিতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। গড়করি এই ভিডিওটির শিরোনাম লিখেছেন ‘দ্য মার্ভেল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং: দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে! ভিডিওটি ‘ভবিষ্যতের একটি অত্যাধুনিক যাত্রা’ ক্যাপশন সহ শেয়ার করা হয়েছে। ওই ভিডিওতে বলা হয়েছে, তিন-চার মাসের মধ্যেই এই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হবে। এটিকে এমন একটি শিল্প প্রকল্প হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা মানুষ আগামী ১০০ বছর ধরে মনে রাখবে।
Marvel of Engineering: The Dwarka Expressway! A State-of-the-Art Journey into the Future 🛣#DwarkaExpressway #PragatiKaHighway #GatiShakti pic.twitter.com/Qhgd77WatW
— Nitin Gadkari (@nitin_gadkari) August 20, 2023
দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে হল একটি 8-লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এটি দিল্লি এবং হরিয়ানাকে সংযুক্ত করে। এর দৈর্ঘ্য মাত্র ২৯ কিলোমিটার। মোট মহাসড়ক তৈরির কাজ হয়েছে ৫৬৩ কিলোমিটার। এই এক্সপ্রেসওয়ে আট লেনের। এর সঙ্গে লেনের একটি সার্ভিস লেনও রয়েছে।
এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সময় অনেক গাছ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের গাছের সংখ্যা ১২০০। এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে, দ্বারকা থেকে মানেসার যাত্রায় সময় লাগবে মাত্র ১৫ মিনিট। মানেসার থেকে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২০ মিনিটে, দ্বারকা থেকে সিংহু সীমান্ত ২৫ মিনিটে এবং মানেসর থেকে সিংহু সীমান্ত মাত্র ৪৫ মিনিটে যাওয়া সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন : ভুয়ো মাদ্রাসায় এবার স্কলারশিপ দুর্নীতি! তদন্ত করছে CBI! টাকার অঙ্ক শুনলে মাথা ঘুরে যাবে
ভিডিওতে আরও বলা হয়েছে, এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ২ লক্ষ টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। এটি আইফেল টাওয়ারের স্টিলের চেয়ে ৩০ গুণ বেশি। একইভাবে এর নির্মাণে ২০ লাখ ঘনমিটার সিমেন্ট-কংক্রিট ব্যবহার করা হয়েছে। এটি বুর্জ খলিফায় ব্যবহৃত সিমেন্টের চেয়ে ৬ গুণ বেশি।