বাংলাহান্ট ডেস্ক: হরিয়ানার ছোট শহর চরখি দাদরি থেকে শুরু হয়েছিল এক সাধারণ ছেলের অসাধারণ যাত্রা। তাঁর নাম নীতিন সাংগওয়ান। আজ তিনি আইএএস অফিসার, কিন্তু এই সাফল্যের (Success Story) পথে হাঁটাটা মোটেই সহজ ছিল না। বিপর্যয়, পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসের মিশেলে তিনি লিখেছেন এমন এক গল্প, যা আজ লক্ষাধিক ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষার্থীর প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।
নীতিন সাংগওয়ানের অনন্য সাফল্যের কাহিনি (Success Story):
নীতিনের স্কুলজীবন খুব একটা উজ্জ্বল ছিল না। এক সময় তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, দ্বাদশ শ্রেণিতে রসায়নে মাত্র ২৪ নম্বর পেয়েছিলেন—অর্থাৎ সামান্য পাশ। কিন্তু সেই ব্যর্থতাই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তিনি কখনও নিজেকে থামতে দেননি। ঠিক করেন, নম্বর নয়—নিজের ইচ্ছাশক্তিই ঠিক করবে তাঁর ভবিষ্যৎ। এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন, তারপর আইআইটি মাদ্রাজ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন (Success Story)।
আরও পড়ুন:“আমাদের অনুপ্রেরণা”, “বন্দে মাতরম”-এর ১৫০ বছর পূর্তিতে বিশেষ স্মারক মুদ্রা ও ডাকটিকিট প্রকাশ মোদীর
পড়াশোনা শেষ করে তিনি যোগ দেন ইনফোসিস (Infosys)-এ। নিরাপদ ও স্বচ্ছল আইটি চাকরিতে দুই বছর কাজ করেন। কিন্তু সেই সময়েই বুঝতে পারেন—কর্পোরেট জীবনে সমাজের জন্য কিছু করার সুযোগ সীমিত। আর ঠিক তখনই, যখন তিনি ইনফোসিসে ‘বেঞ্চ’-এ ছিলেন অর্থাৎ কোনও প্রোজেক্টে নিযুক্ত ছিলেন না, তখনই তাঁর মাথায় আসে ইউপিএসসি-র প্রস্তুতি নেওয়ার চিন্তা (Success Story)।
চাকরি করেই তিনি শুরু করেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি। প্রথম প্রচেষ্টায় মূল পরীক্ষায় পৌঁছতে পারেননি। কিন্তু হাল ছাড়েননি। নিজের কৌশল বদলান, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকেন, আর সময়ের সঠিক ব্যবহার শেখেন। কাজের ফাঁকে ডিজিটাল নোট তৈরি করতেন—যেখানেই থাকুন না কেন, পড়াশোনা থামত না (Success Story)।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় চেষ্টায় তিনি আংশিক সাফল্য পান—ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস (IRS) ও অন্যান্য প্রশাসনিক পদ পান। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য একটাই ছিল—আইএএস। তাই আরও একবার চেষ্টা করেন। অবশেষে ২০১৫ সালে ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অল ইন্ডিয়া র্যাঙ্ক ২৮ অর্জন করেন নীতিন সাংগওয়ান (Success Story)।

আরও পড়ুন: ‘শীর্ষেন্দুবাবু, অপর্ণা সেন এসে দেখে যান!’ ফুঁসে উঠলেন শুভেন্দু, হঠাৎ কি হল?
আজ তিনি গুজরাট ক্যাডারের আইএএস অফিসার। তাঁর গল্প শুধু এক ব্যক্তির সাফল্যের কাহিনি নয়, বরং এক বিশ্বাসের প্রতীক—যে বিশ্বাস বলে, জীবনে সাফল্য আসে নম্বর বা পারফরম্যান্সে নয়, আসে আত্মবিশ্বাস, অধ্যবসায় ও সঠিক দিক নির্দেশে (Success Story)।
নীতিন নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “নম্বর আমার জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেনি, আমি নিজেই করেছি।” তাঁর এই একবাক্য আজ অসংখ্য ছাত্রছাত্রীকে সাহস জোগাচ্ছে—যাঁরা ব্যর্থতা পেরিয়ে স্বপ্ন দেখার সাহস রাখেন (Success Story)।












