বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিহারে (Bihar) কি শেষ পর্যন্ত বিজেপির (BJP) সঙ্গ ছেড়ে আরজেডি (RJD) ও কংগ্রেসের (Congress) হাত ধরতে চলেছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)? বর্তমানে এ জল্পনা মাঝে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বিহারের রাজনীতি। গত দুদিন ধরেই আরজেডি, কংগ্রেস এবং JDU-এর মধ্যে পুনরায় একবার মহাজোট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হতে শুরু করেছে। এর মাঝে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) নীতীশ কুমারের ফোন এবং আজ সকল দলীয় বিধায়ক এবং সাংসদদের নিয়ে তাঁর বৈঠক ঘিরে সেই জল্পনা আরো প্রকট হয়ে উঠছে। তবে কি ফের একবার বিহারের রাজনীতিতে আসতে চলেছে নয়া মোড়, উঠছে প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, বর্তমানে জেডিইউ-এর সকল বিধায়ক এবং সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করছেন স্বয়ং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তবে বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে, তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। এর মাঝেই এবার রাজনৈতিক পালাবদলের জল্পনা উস্কে দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক শাকিল আহমেদ খান। এদিন তিনি জানান, “বিহারে কংগ্রেস এবং আরজেডির মহাজোটের সঙ্গে নীতীশ কুমারের দলের পুনরায় একবার মেলবন্ধন হতে চলেছে। জেডিইউ এবার কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে যুক্ত হবে। মুখ্যমন্ত্রী হবেন নীতীশ কুমার। বিহারের রাজনীতিতে সর্বদাই পরিবর্তন দেখে এসেছে মানুষ আর এক্ষেত্র সেই ধারা বজায় থাকবে।” স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস বিধায়কের এহেন মন্তব্য ঘিরে বর্তমানে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নীতীশ কুমারের সঙ্গে দলগড়ার প্রসঙ্গে সম্মতি জানিয়েছেন আরজেডি নেতা তথা লালু প্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদব। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, বিহারের বুকে নতুন সরকার গড়া হলে সেক্ষেত্রে গৃহ মন্ত্রণালয় চাইতে চলেছেন তেজস্বী। এক্ষেত্রে অবশ্য নীতীশ কুমারের বৈঠকের শেষেই স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং বিজেপির মধ্যেকার পারস্পরিক সম্পর্ক বহুদিন ধরেই টালবাহানার মধ্যে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২০ সালে বিধানসভা ভোটে জয়লাভের পর থেকেই সমস্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে বিজেপির তুলনায় আসন সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা অনেকেরই পছন্দ হয়নি। একইসঙ্গে বর্তমানে জেডিইউ-এর প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি আরসিপি সিংকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা নিয়েও ‘অসন্তুষ্ট’ হন নীতীশ। এই পরিস্থিতিতে গত শনিবার দলত্যাগ করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ’ বলে কটাক্ষ ছুড়ে দেন আরসিপি আর এ সকল ঘটনাতেই ক্ষুব্ধ জেডিইউ প্রধান বিজেপির জোট ছাড়তে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বৈঠক শেষে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কি ঘোষণা করেন, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।