চব্বিশে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নীতিশ? বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করতে মাঠে নামলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিহারের (Bihar) রাজনীতিতে বিজেপিকে কিস্তিমাত করে বিরোধী শিবিরের প্রথম সারিতে চলে এলেন নীতিশ কুমার (Nitish Kumar)। এমনটাই মনে করছে দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। নীতিশ যেভাবে বিজেপিকে তাঁদেরই অস্ত্রে বধ করেছেন তাতে দেশ থেকে মোদি আগ্রাসন খতম করার লড়াইয়ে প্রথম সারিতে উঠে এলেন তিনি। নীতিশ নিজেও যথেষ্ট আশাবাদী ২০২৪ এর নির্বাচন নিয়ে। তিনি বলেন, ‘এবার বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করার কাজটা আমি নিজেই করব। ইডি-সিবিআইকে আমার পিছনেও লাগাতে পারে বিজেপি, কিন্তু সেটা দেশের মানুষ বুঝে নেবে।’

অষ্টম বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরই একাধিক জায়গা থেকে ফোন আসছে নীতিশের কাছে। তিনি সাংবাদ মাধ্যমের দ্বারা ভারতের সমস্ত বিরোধী শক্তিকে এক জোট হওয়ার আহ্বান জানান। নীতিশ আরও জানান, গত বিধানসভায় জেডিইউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি। বিজেপির কথা রাখতেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে এনডিএ ছাড়তে হয়। এমনি দাবি করলেন নীতিশ কুমার।

নীতিশ আরও বলেন, ‘অনেকেই বলছেন আমি বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। কিন্তু জানিয়ে রাখি এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। দলের লোকেরা চেয়েছিল আমরা এনডিএ ছাড়ি। দেশের পরিস্থিতি ভালো নয়। ২০২৪ আসতে দিন, আমরা দেখে নেবো বিজেপির কত ক্ষমতা।

আরসিপি সিং-এর ব্যাপারেও প্রশ্ন করা হয় নীতিশ কুমারকে। তিনি বলেন, ‘আরসিপি সিং একেবারেই ভালো কাজ করেননি। তাঁকে অনেক সম্মান দিয়েছি আমরা। দলের অধ্যক্ষের পদও দেওয়া হয় তাঁকে। পরে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন।’

সুশীল মোদির ব্যাপারেও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় নীতিশ কুমারকে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় সুশীল মোদি আপনার উপর ক্ষুব্ধ কেন? এর উত্তরে নীতিশ বলেন, ‘সুশীল মোদি যা চেয়েছিল সবই দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে যখন বিজেপির সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় এলো জেডিইউ, তখন আমরা ভেবেছিলাম সুশীল মোদি আমাদের সঙ্গেই থাকবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সুশীল মোদি রাজ্যসভায় চলে যান। পরে জানা যায়, ওখানে তিনি কিছুই পাননি।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর