আদালতে স্বস্তিতে বিরোধী দলনেতা! শুভেন্দু অধিকারী বনাম বীরবাহা হাঁসদার মামলায় বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

Published on:

Published on:

Suvendu Adhikari

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাইকোর্টের (Calcutta high Court) নির্দেশে স্বস্তিতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত এদিন সাফ জানাল, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার মামলায় আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।

কি নিয়ে মামলা?

নিজের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বীরবাহা হাঁসদা। তবে ঘটনা এখনের নয়। যেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা তা ২০২২ সালের। সেই সময় রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে ঝাড়গ্রাম থানায় এফআইআর করেন মন্ত্রী।

২০২২-এ ঝাড়গ্রামের ঝিটকার জঙ্গলে গেলে বিশাল ব্যারিকেড নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে আটকে দেয় রাজ্য পুলিশ। অভিযোগ ওঠে সেই সময় বিরোধী দলনেতা রাজ্যের মন্ত্রী উদ্দেশ্য করে কুমন্তব্য করেন। ঝাড়গ্রাম ST থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বীরবাহা। একই অভিযোগে একাধিক থানাতেও FIR দায়ের হয়।

যদিও প্রথম থেকেই বিরোধী দলনেতার দাবি ছিল, তিনি এরকম কোনও মন্তব্য করেননি। স্থানীয় ভাষায় মন্তব্য করায় তা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলেও স্পষ্ট জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। বুধবার সেই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বেলেঘাটা এবং সাঁকরাইল থানায় দায়ের হওয়া FIR এর ভিত্তিতে আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। সুতরাং, আপাতত স্বস্তিতে বিরোধী দলনেতা।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: পুর-নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে টাকার পাহাড়! তারাতলায় ব্যবসায়ীর বাড়ি উদ্ধার কত কোটি? শুনলে ভিরমি খাবেন

তবে মামলার কেস ডায়েরি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই বিষয়ে রাজ্য এখনই কোনও পদক্ষেপ করবে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১১ নভেম্বর। রাজ্যের আইনজীবীর সওয়ালের প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছে, “মূল অভিযোগকারীর বক্তব্য শোনার পর রক্ষাকবচ দেওয়া বা না দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”