নির্ভয়ার দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার জন্য কোন জল্লাদ পাচ্ছেনা তিহার জেল প্রশাসন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লীতে চলন্ত বাসে মেডিকেল ছাত্রী নির্ভয়ার সাথে নৃশংসতার কাহিনী গোটা দেশকে শোকস্তব্ধ করে দিয়েছিল। রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ ন্যায় বিচারের জন্য নেমেছিল। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়ার পর এখন নির্ভয়ার দোষীদের কাছে আইনি বিকল্প খুবই কম আছে। এতটাই কম যে, তাঁদের সামনে এখন ফাঁসির দড়ি ঝুলছে। কিন্তু তিহার জেল প্রশাসন এখন অন্য সমস্যার সন্মুখিন। প্রসঙ্গত, তিহার জেল প্রশাসনের কাছে নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসি দেওয়ার জন্য কোন জল্লাদ নেই। সুত্র অনুযায়ী, এক মাসের মধ্যে দোষীদের ফাঁসির সাজা নিয়ে তারিখ ঘোষণা হতে পারে। আদালতের তরফ থেকে ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট জারি করার পর দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হবে।

nirbhaya

যদি ভারতের রাষ্ট্রপতি দোষীদের দয়ার আবেদন খারিজ করে দেন, তাহলে তারপরই আদালত ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট জারি করবে। এরপর ফাঁসির দিন ঘোষণা হবে। শেষবার সংসদে হামলায় অভিযুক্ত আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আফজলকে ফাঁসি দেওয়ার আগে জেলের সুরক্ষা কড়া করা হয়েছিল। সুত্র থেকে জানা যায় যে, সেই সময় জেলের এক কর্মচারী ফাঁসির দড়ি টানার জন্য সহমত হয়েছিলেন। সুত্র অনুযায়ী, এই সমস্যার সমাধানের জন্য তিহার জেল প্রশাসন অন্য জেলের সাথে যোগাযোগ করে তাঁদের থেকে জল্লাদ নিয়ে আসার কথা ভাবছে। তিহার জেল উত্তর প্রদেশের কয়েকটি গ্রামে খোঁজ লাগাচ্ছে, যেখানে প্রাক্তন জল্লাদদের বাড়ি আছে।

nirbhaya

সুত্র অনুযায়ী, বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, তিহার জেলে নতুন করে কোন জল্লাদের নিযুক্তি করা হবেনা। বরঞ্চ চুক্তির আধারে জেলে জল্লাদ নিযুক্তি হতে পারে। জেলের এক আধিকারিক জানান, ফাঁসির সাজা দুর্লভতম মামলা আর এই কারণে জেলে সবসময় জল্লাদের প্রয়োজন হয়না। আর এই পদের জন্য কোন স্থায়ী কর্মচারী খুঁজে পাওয়াও মুশকিল।

এক সরকারি আধিকারিক জানান, এই সময় শুধুমাত্র অভিযুক্ত বিনয় শর্মা দয়ার আবেদন দাখিল করেছে। তিহার প্রশাসন এই আবেদন দিল্লী সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। দিল্লী সরকার সেটিকে উপ রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছে, আর পরামর্শে জানিয়েছে যে জঘন্যতম অপরাধের কথা মাথায় রেখে উপ রাজ্যপাল যেন এই আবেদন খারিজ করে দেন। উপ রাজ্যপাল এই ফাইলকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠাবে আর সেখান থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত তিহার জেল প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হবে, আর দয়ার আবেদন খারিজ হুয়ার পর আদালতের তরফ থেকে ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট জারি করা হবে।

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর