ভারতের এই গ্রামে প্রবেশ করতে পারেন না কোনো বিদেশি পর্যটক, বহু বছর ধরে এটাই নিয়ম

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারত বৈচিত্র্যের দেশ। উঁচু পাহাড় থেকে শুরু করে গভীর সমুদ্র কিংবা থর মরুভূমির উষ্ণতা থেকে শুরু করে বৃষ্টিস্নাত চেরাপুঞ্জি! ভারতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সম্ভার যেন অফুরন্ত ডালি সাজিয়ে রাখে সবার জন্য। আর প্রকৃতির এই অপরূপ মেলবন্ধনকে আস্বাদন করতেই ভিড় জমান পর্যটকরা।

দেশের পাশাপাশি বিদেশেরও বহু পর্যটক প্রতি বছর ভারতে আসেন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। উত্তর ভারতের হিমালয় থেকে শুরু করে দক্ষিণের সমুদ্র সবেতেই আকৃষ্ট হন তাঁরা। তবে, পাহাড় বললেই প্রথমে প্রত্যেক ভারতবাসীর মনে যে রাজ্যের নাম আসে তা হল উত্তরাখন্ড। প্রকৃতি যেন তার অপরূপ সৌন্দর্যের পশরা সাজিয়ে রেখেছে এখানে। পাশাপাশি, এই রাজ্য গণ্য হয় “দেবভূমি” হিসেবেও!

তাই, এখানে সারাবছরই বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের ঢল দেখা যায়। তবে, এই রাজ্যেই এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে বিদেশি পর্যটকরা কোনোমতেই প্রবেশ করতে পারেন না। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও, এটাই কিন্তু সত্যি! এমনকি, কোনো বিদেশি সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়। আসুন জেনে নিই উত্তরাখণ্ডের এই অনন্য গ্রাম সম্পর্কে।

উত্তরাখণ্ডের চাকরাতা গ্রামে বিদেশিদের আগমনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যেই কারণে এখানে কোনো বিদেশি যেতে পারেন না। আসলে এই গ্রামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সেনা ছাউনি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, এখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থাকেন। বৃটিশ শাসন থেকেই এই গ্রামটি একটি সেনা ক্যান্টনমেন্ট রূপে বিবেচিত হয়।

এই গ্রাম ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দেরাদুনের কাছে থাকা ছোট্ট এই এলাকাটি বিখ্যাত তার অপরূপ প্রাকৃতিক শোভার জন্য। পাশাপাশি, এই অঞ্চলটি দূষণমুক্তও বটে। চাকরাতায় ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে একটি ক্যান্টনমেন্ট রয়েছে।

WhatsApp Image 2022 03 12 at 9.00.45 PM

এদিকে, খুব অল্প জনসংখ্যার গ্রাম চাকরাতায় থাকার জন্য মাত্র কিছু সংখ্যক হোটেল রয়েছে। এই গ্রামটি জৌনসার বাবর নামেও পরিচিত। মূলত, এখানে জৌনসারী বর্ণের মানুষরা বাস করেন। পাশাপাশি, বিখ্যাত টুরিস্ট স্পট টাইগার ফলস, দেববন এবং চিরমিরি এখান থেকে মাত্র কিছুটা দূরে অবস্থিত রয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর