বাংলাহান্ট ডেস্ক: এবার এটিএমে (Automated Teller Machine) আর দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হবে না গ্রাহকদের। ভারতে নগদ অর্থ তোলা এখন আরও সহজ হতে চলেছে। এত দিন পর্যন্ত নগদ টাকা তুলতে হলে গ্রাহকদের নিকটবর্তী এটিএমে যেতে হতো বা ব্যাংকের শাখায় ভিড় জমাতে হতো। কিন্তু এবার স্মার্টফোনে থাকা যে কোনও ইউপিআই (UPI) অ্যাপের মাধ্যমে কেবলমাত্র একটি কিউআর (QR) কোড স্ক্যান করেই টাকা তোলার সুবিধা পাওয়া যাবে। এই নতুন উদ্যোগ মূলত গ্রামীণ এবং ছোট শহরের বাসিন্দাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠবে, যেখানে এটিএম বা ব্যাংক শাখার সংখ্যা খুবই সীমিত।
এটিএমে আর লাইন নয় (Automated Teller Machine)
ইউপিআই এখন দেশে অনলাইন লেনদেনের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। দৈনন্দিন জীবনে বিল, কেনাকাটা, ভাড়া পরিশোধ থেকে শুরু করে ছোটখাটো পেমেন্ট পর্যন্ত সবকিছুতেই ইউপিআই ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু এবার এই প্রযুক্তি অফলাইন ব্যবস্থাতেও কার্যকর হতে চলেছে। নতুন নিয়মে গ্রাহকরা যে কোনও ইউপিআই অ্যাপ ব্যবহার করে কিউআর কোড স্ক্যান করবেন, এবং সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ কেটে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি তথা ‘বিজনেস করেসপন্ডেন্ট’-এর অ্যাকাউন্টে জমা হবে। সেই প্রতিনিধি সরাসরি গ্রাহককে নগদ অর্থ তুলে দেবেন (Automated Teller Machine)।
আরও পড়ুন:পাত্তা দেয়নি ICC! করমর্দন বিতর্কে নিজেদের জালেই জড়াল পাকিস্তান, এশিয়া কাপে সফর হবে শেষ?
বিজনেস করেসপন্ডেন্টরা আসলে ব্যাংকের ক্ষুদ্র শাখার মতো কাজ করেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং ছোট শহরগুলিতে তাঁদের মাধ্যমে ব্যাংকিং পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। ফলে যেখানে এটিএম বা ব্যাংক নেই, সেখানকার মানুষও সহজে টাকা তুলতে পারবেন। আগে ইউপিআই-এর মাধ্যমে নগদ তোলার সুযোগ থাকলেও তা কেবলমাত্র সীমিত কিছু এটিএম বা নির্দিষ্ট ব্যবসায়ী পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। তাছাড়া তোলার সীমাও নির্দিষ্ট ছিল—শহরে ১০০০ টাকা এবং গ্রামে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। এবার সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে এই পরিষেবা বিজনেস করেসপন্ডেন্ট আউটলেটগুলিতেও পৌঁছে যাবে (Automated Teller Machine)।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই নতুন ব্যবস্থায় নগদ তোলার জন্য গ্রাহকের কাছে এটিএম কার্ড থাকার প্রয়োজন নেই, এমনকি বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) দেওয়ারও দরকার নেই। ফলে যাঁরা কার্ড ব্যবহার করতে অসুবিধা বোধ করেন বা যাঁদের বায়োমেট্রিক যাচাই সম্ভব হয় না, তাঁরাও সহজে নগদ তুলতে পারবেন। এটি ডিজিটাল লেনদেনে এক বড় পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে (Automated Teller Machine)।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য ভারতে এসে এখানেই জাঁকিয়ে বসেছিলেন, ৩৮ জন অবৈধ বাংলাদেশিদের তালিকা গেল নির্বাচন কমিশনে
তবে এই প্রকল্প চালু হওয়ার আগে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের অনুমোদন প্রয়োজন। ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) ইতিমধ্যেই এই পরিকল্পনা তৈরি করেছে এবং তারা চায় এই সুবিধা যত দ্রুত সম্ভব চালু করা হোক। এর ফলে শুধু শহুরে জনগণই নয়, গ্রামের মানুষও সহজে ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে নগদ অর্থ তুলতে পারবেন। বিশেষত তাঁদের জন্য, যাঁদের প্রতিদিন ব্যাংকে যাওয়া বা এটিএম (Automated Teller Machine) খোঁজা কষ্টকর হয়ে ওঠে, এই উদ্যোগ বিপুল স্বস্তি এনে দেবে।
এই নতুন পরিষেবা কার্যকর হলে ভারতের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রচেষ্টায় এক বড় ধাপ এগিয়ে যাবে দেশ। ডিজিটাল পেমেন্টের পাশাপাশি নগদ অর্থ তোলাও হয়ে উঠবে প্রযুক্তিনির্ভর, সহজ ও সর্বজনীন (Automated Teller Machine)।