ভারতীয় রেলে (Indian Railway) বেসরকারিকরন নয়। এদিন সংসদে রেলের আর্থিক অনুদান সংক্রান্ত একটি বিতর্কে স্পষ্ট জানালেন কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল (Piyush Goyal)। তবে রেলযাত্রা আরও আরামদায়ক করে তুলতে বেসরকারি বিনিয়োগের কথাও এদিন বলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি এদিন বলেন যে, “আমাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় রেল বেসরকারিকরণের অভিযোগ ওঠে, তবে কেউ এটা বলে না যে, শুধুমাত্র সরকারি গাড়িই রাস্তায় চলাচল করা উচিত। কারণ বেসরকারি ও সরকারি উভয় যানবহনই আর্থিক বৃদ্ধিতে সাহাজ্য করে। তাই ভারতীয় রেলে বেসরকারি বিনিয়োগকে সবাইকে স্বাগত জানানো উচিত। কারণ এটিও রেলের যাত্রাপথকে আরও উন্নতর করে তুলবে।”
যে সমস্ত মানুষ খালি বলে মোদী রেল বিক্রি করে দিলো , বেসরকারিকরণ করে দিলো বলে মানুষদের ভুল বোঝায় তাদের জন্য আজ রাজ্যসভা তে মাননীয় রেলমন্ত্রী শ্রী @PiyushGoyal জী পরিষ্কার করেছেন যে রেল বেসরকারিকরণ করা সম্ভব নয়!
রেল জাতীয় সম্পত্তি ছিল আছে থাকবে…. pic.twitter.com/zu5JGS5JGv— Rakesh Bose (@irakeshbose) March 16, 2021
এতদিন বিরোধী শিবিরের তরফে ধেয়ে আসা রেল বেসরকারিকরন (Indian Rail Privatization) অভিযোগ রেলমন্ত্রী একেবারে উড়িয়ে দেন। এমনকি কখনই তেমনটা না হওয়ার আশ্বাস দেন। তবে রেলে বেসরকারি বিনিয়োগের পক্ষে সওয়াল করে তিনি জানান, “গত ২ বছরে রেল দুর্ঘটনায় একজন যাত্রীরও মৃত্যু হয়নি। শেষ মৃত্যু হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। এর কারণ, যাত্রী সুরক্ষায় পর্যাপ্ত নজর দিয়েছে রেল। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র যদি হাতে হাত মিলিয়ে চলতে শুরু করে, তাহলে দেশ উন্নতির গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হবে। একইসঙ্গে আরও বেশি কর্মসংস্থান হবে।”
প্রসঙ্গত বলা যায়, রেলে পিপিপি মডেলকেই (PPP Model বা প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ) প্রাধন্য দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন তিনি আরও জানান যে, রেল জাতীয় সম্পত্তি, তা কখনই বেসরকারি সংস্থার হাতে যাবে না।
তবে রেলে যে বেসরকারি বিনিয়োগের পক্ষে সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তা নিয়েও সরব হন বিরোধী থেকে একদল রেল কর্মীরাও। তাদের দাবি, বেশি বিনিয়োগের ফলে পরিষেবা উন্নত হলেও, সংস্থা চাইলে ইচ্ছেমত টিকিটের মূল্য বাড়াতে পারে। যার ফল ভুগতে হবে নিত্যযাত্রীদেরই।