ক্লাস নেওয়ার সময় নো মোবাইল! শিক্ষকদের ছুটিতেও কড়াকড়ি, বিচারপতি বসুর ভিজিটেই অ্যাকশন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাই কোর্টের বিচারপতি (Calcutta High Court) বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajit Basu) সারপ্রাইজ় ভিজ়িটের পরই জোরদার অ্যাকশনে শিক্ষা দফতর। এবার থেকে স্কুলে ক্লাস চলাকালীন শিক্ষকদের (Teachers) ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস মারফত একাধিক স্কুলে ইতিমধ্যেই এই মর্মে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ছুটির ক্ষেত্রেও এবার থেকে কড়াকড়ি।

কী ঘটেছিল? গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চে যাওয়ার পথে হঠাৎই গাড়ি থামিয়ে জেলার অন্যতম প্রাচীন বিদ্যালয় ফণীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউশনের ভেতরে ঢুকে যান যান। আর সেখানে যেতেই চক্ষু চড়কগাছ! বিদ্যালয়ের বাইরের নর্দমায় মিড ডে মিলের ভাত! এরপর সোজা প্রধান শিক্ষকের ঘরে চলে যান তিনি।

প্রধান শিক্ষকের কাছে রেজিস্টার বুক দেখতে চান বিচারপতি। আর তখনই জানতে পারেন সেদিন বিদ্যালয়ের ৪৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ১২ জন শিক্ষক অনুপস্থিত! একদিনে এতজন শিক্ষক কেন আসেননি? এই বিষয়ে জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি বসু।

এরপরই নড়েচড়ে বসে শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি হয়েছে বিদ্যালয় গুলির জন্য। জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে সেই কড়াকড়ির কথা জানিয়ে একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে চিঠি পৌঁছে গিয়েছে।

The state appointed 4,100 teachers

আরও পড়ুন: পুরুষাঙ্গ পরীক্ষা করে তবেই CAA-তে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক! প্রাক্তন রাজ্যপালের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এবার থেকে প্রধান শিক্ষকের থেকে অনুমতি ছাড়া কোনো শিক্ষক কোনওরকম ছুটি নিতে পারবেন না। ছুটি নিলেও কী কারণে ছুটি, সেই বিষয়েও যাবতীয় তথ্য ও কাগজপত্র জমা করতে। পাশাপাশি স্কুলের রেজিস্টার খাতা আপ টু ডেট রাখার নির্দেশও জারি হয়েছে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর