বাংলাহান্ট ডেস্ক : সিবিআই (CBI) হেফাজতে থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee) বার্তা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই রয়েছেন তিনি। অনুব্রতর গ্রেফতারের বিরোধিতা করে নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে দল৷ অথচ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Patha Chatterjee) সঙ্গেই হলো যত বৈষম্য। গ্রেফতারের ছ’দিনের মধ্যেই চলে গেছে মন্ত্রীত্ব। নির্বাসিত হয়েছেন দলীয় পদ থেকেও। এমনকি তৃণমূলের শীর্ষ নেতারাই বলেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন তাতে তাঁরাও লজ্জিত৷ প্রেসিডেন্সি জেলে এই সমস্ত খবরই পৌঁছে যেত প্রাক্তন মন্ত্রীর কাছে৷
তৃণমূলের প্রায় জন্মলগ্ন থেকেই তিনি আছেন। যে মানুষগুলোর সঙ্গে এত বছর তিনি রাজনীতি করলেন তাঁরা এ ভাবে মুখ ফিরিয়ে নেবেন, তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি পার্থর সঙ্গে দেখা করেন তাঁর আইনজীবী।
বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আইনজীবীর কাছেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানতে চান, দলের কেউ আর তাঁর খোঁজ খবর নিচ্ছেন কি না৷ জবাবে আইজীবী পার্থকে জানান, দলের শীর্ষ নেতারা তাঁর কোনও খোঁজ নেননি৷ তবে বেহালায় দলের কর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ তাঁর খোঁজ নিয়েছেন৷ স্বভাবিক ভাবেই এই উত্তর শুনে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন পার্থ৷ এরই সঙ্গে নিজের আইনি বিষয় নিয়ে মন দেওয়ার জন্য পার্থকে পরামর্শ দেন তাঁর আইনজীবী৷
গত রবিবার বেহালা পশ্চিমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পার্থর বাম একবারের জন্যও মুখে আনেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উলটে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়েই সরব হন মমতা৷ এর আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হওয়ার পর প্রাক্তন তাঁর উপর নিজের ক্ষোভ স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এর পর থেকেই পার্থর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন দলের বাকি নেতারাও মন্ত্রীরাও।