মাত্র ১০ সেকেন্ডে ভেঙে ফেলা হল ৪০ তলা বিল্ডিং, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল নয়ডার টুইন টাওয়ার, দেখুন ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ার (Noida Supertech Twin Towers)। প্রয়োজনীয় অনুমতি না নিয়েই আইনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০১৩ সালে এই টুইন টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু করেছিল প্রস্তুতকারী সংস্থা। যার ফলে প্রতিবাদ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি, একটা সময়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এমতাবস্থায়, প্রায় ৯ বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রবিবার দুপুর ২.৩০ টে নাগাদ ভেঙে ফেলা হল এই জোড়া ইমারত। আর তাতে সময় লাগল মাত্র ১০ সেকেন্ড।

ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে চোখের নিমেষে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে কুতুব মিনারের চেয়েও লম্বা এই যমজ টাওয়ারগুলিকে। আর এভাবেই এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। এদিকে, এই টাওয়ারগুলির ধ্বংসাবশেষের ধুলো থেকে বাঁচতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুপুর আড়াইটা থেকে মাস্ক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়।

শুধু তাই নয়, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি পরামর্শও জারি করা হয়েছে। এছাড়াও, স্থানীয় এলাকাবাসীকে আপাতত বাড়ির দরজা-জানলা কিছুক্ষণ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই টাওয়ারগুলির ধ্বংসের কারণে প্রায় ৫৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হবে। যেগুলি পুরোপুরি সরাতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে। পাশাপাশি, ওই বিপুল ধ্বংসস্তূপ থেকে তৈরি হওয়া ধুলোর চাদর সরতে অন্তত একদিন সময় লাগবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য ৩ হাজার ৭০০ গ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি, প্রায় ৫০০ জন পুলিশকর্মীর নিরাপত্তায় পুরো ঘটনাটি সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ সকাল ৭ টার মধ্যেই এমেরাল্ড কোর্টের প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দা এবং সেক্টর 93A-এর পার্শ্ববর্তী ATS ভিলেজ সোসাইটিগুলিকে তাদের জায়গা খালি করতে বলা হয়েছিল।

এই জোড়া বহুতলের একটির নাম হল অ্যাপেক্স। যার উচ্চতা ছিল ১০০ মিটার। অন্যটির নাম হল সিয়ানে। এটির উচ্চতা ছিল ৯৭ মিটার। অর্থাৎ, এই যমজ টাওয়ার কুতুব মিনারের চেয়েও লম্বা ছিল। উল্লেখ্য যে, টুইন টাওয়ারের সবচেয়ে কাছের বিল্ডিংগুলি হল এমারল্ড কোর্ট সোসাইটির Aster 2 এবং Aster 3। এমতাবস্থায়, অন্যান্য ভবনগুলির যাতে কোনোরকম ক্ষতি না হয় সেই দিকটিকে মাথায় রেখেই ভেঙে ফেলা হল এই দুই টাওয়ার।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর