বাংলা হান্ট ডেস্ক : ঝলমলে আকাশ, ঠান্ডার মেজাজ কিন্তু এরই মধ্যেই আকাশ থেকে ঝাঁপিয়ে নামল বৃষ্টি যদিও এই বৃষ্টির জল নয় এই টাকার বৃষ্টি। শিরোনাম শুনেই সিনেমার কথা মনে হলেও আদৌ কিন্তু কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়, পাঁচ দশ নয় একেবারে পাঁচ ও দুই হাজার টাকার কড়কড়ে নোটের বৃষ্টি হল বেন্টিংক স্ট্রিটের । বুধবার টাকার বৃষ্টি দেখে লোভ সংবরণ না করতে পেরে টাকা পুরনো ভিড়ে ভিড় জমাল আম জনতা।
পথ চলতি মানুষদের কাজের গন্তব্যস্থলে যাওয়ার থেকেই টাকা কুড়ানোর হুড়োহুড়ি ছিল লক্ষণীয়। যদিও প্রথমে নোট পড়েছিল কিন্তু পরে বেন্টিংক স্ট্রিটের একটি বহুতল থেকে একের পর এক টাকার বান্ডিল ছড়িয়ে পড়ে, ঘটনার জেরে ব্যাপক শোরগোল শহর কলকাতার বুকে। জানা গিয়েছে বুধবার, ফাঁস দিন দুপুরে হঠাত্ বেন্টিংক স্ট্রিটের এমকি পয়েন্টের বিল্ডিংয়ের চার তলার একটি অফিস থেকে টাকা ছড়িয়ে পড়ে এর পর বান্ডিলের পর বান্ডিল টাকা ফেলা হলেও, কিন্তু কারা টাকাগুলি ফেলল?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে কার্যত স্পিকটি নট স্থানীয় বাসিন্দা বা ওই বহুতলের কোনও কর্মচারী কিংবা অফিসের লোকজন। যদিও ঘটনার খবর পেয়ে রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা ওই অফিসে হানা দেন। যদিও কোন সংস্থার অফিস বা এতগুলো টাকা ফেরার কারণ কি কিংবা কোথা থেকে টাকা এল সেই সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি তবে টাকা ওড়ার খবর চাউর হতেই রীতিমতো ওই বহুতলের নিচে ভিড় জমে যায়।
কিন্তু এত টাকা ফেলার কারণ কী? স্থানীয়রা কেউ কেউ বলছেন কোনও বেআইনি কাজকর্মের জন্য ওই অফিসে এত টাকা মজুত ছিল আর তাই টাকাগুলি কী করবে ভেবে না পেয়ে সরাসরি ফেলে দিয়ে সকলের মধ্যে বিলিয়ে দিতে চেয়েছিল সংস্থা। যদিও কোনও তথ্যই বা যুক্তি খাটছে না তবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ এবং রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা।