বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, এবার আফ্রিকা (Africa) মহাদেশ দু’টি ভাগে বিভক্ত হতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই মহাদেশ দ্বিখণ্ডিত হয়ে জন্ম নিচ্ছে এক নতুন মহাসাগর। এই প্রসঙ্গে পিয়ার রিভিউ জার্নাল জিওফিজিক্যালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, ওই মহাদেশের পাশাপাশি বিশ্বও দু’টি ভাগে ভাগ হয়ে যাবে।
রিসার্চ রিপোর্ট অনুসারে, যখন একটি টেকটনিক প্লেট ভাঙতে শুরু করে, তখন তাকে রিফটিং বলা হয়। এই কারণে ভূমির উপরিভাগ থেকে ফাটল শুরু হয়ে সমুদ্রের তলদেশে গিয়ে ফাঁকা স্থানে সাগর সৃষ্টি হয়। আইএফএল সায়েন্সের মতে, এর আগেও মহাদেশ ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ১৩.৮ কোটি বছর আগে, দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকা আলাদা হয়ে যায় এবং আরব প্লেট আফ্রিকা থেকে দূরে সরে যায়। এই ঘটনার কারণেই লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগর তৈরি হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহাদেশের বিভাজন পূর্ব আফ্রিকা রিফটের সাথে সম্পর্কিত এবং এখন সেখানে ৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাটল রয়েছে। এই ফাটলগুলি ইথিওপিয়ার মরুভূমি থেকে শুরু হয়েছিল এবং এখন তা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে
বদলে যাবে ৬ টি দেশের মানচিত্র: এদিকে, এই নতুন সাগরের উদ্ভবের সাথে সাথেই বদলে যাবে ৬ টি দেশের মানচিত্র। বর্তমানে আফ্রিকা মহাদেশে এমন ৬ টি দেশ রয়েছে যেগুলি চারদিক থেকে স্থল দ্বারা বেষ্টিত। তবে এই ফাটলের পরে ওই ৬ টি দেশ সমুদ্র উপকূল পাবে। এই দেশগুলি হল- রুয়ান্ডা, উগান্ডা, কঙ্গো, বুরুন্ডি, মালাউই ও জাম্বিয়া।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০১৮ সালে, কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে প্রায় ১৪২ কিলোমিটার দূরে নারোক নামে একটি ছোট শহরে একই রকম ফাটল দেখা গিয়েছিল। প্রবল বৃষ্টির পরও সেখানে ফাটল ক্রমশ বাড়তে থাকে। তখন ধারণা করা হয়েছিল যে, এটি বৃষ্টির কারণে হতে পারে। কিন্তু ভূতত্ত্ববিদরা মনে করেন যে মাটির ভিতরে নড়াচড়ার কারণে উপরে ওই ফাটল তৈরি হয়েছিল। প্রতি বছর সেটি ৭ মিলিমিটার দূরে চলে যাচ্ছে।