বাংলা হান্ট ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় (Ayodhya) উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। যাকে ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পাশাপাশি, ব্যস্ততাও রয়েছে তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে যে, বিশেষ পদ্ধতিতে পুজোর জন্য তৈরি হয়েছে হাজারের বেশি যজ্ঞকুণ্ড। শুধু তাই নয়, রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ধর্মীয় অনুষ্ঠানও। এমতাবস্থায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধু-সন্তরা অংশ নেবেন ওই যজ্ঞে।
মূলত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে ১১ দিনের বিশেষ রীতি-নিয়ম পালন শুরু করেছেন। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম জন্মভূমি মন্দিরের উদ্বোধন ও পুজোর পাশাপাশি ওই দিনই বিকেলে রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠান রয়েছে। জানা গিয়েছে যে, রামলালার বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে, সাধুরা হনুমানের উদ্দেশে আহুতি দেবেন। যার জন্য তৈরি করা হয়েছে মোট ১,০০৮ টি যজ্ঞকুণ্ড। এমতাবস্থায়, মহাসমারোহে হতে চলা এই বিরাট কর্মযজ্ঞে অযোধ্যা সেজে উঠতে চলেছে চন্দননগরের বিখ্যাত আলোয়।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, অযোধ্যার পথঘাট দীপাবলিতেও সেজে উঠেছিল চন্দননগরের আলোয়। তবে, এবারও সেই আলোতেই সেজে উঠতে চলেছে অযোধ্যা। যেটি অবশ্যই বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করবে। ইতিমধ্যেই এই কাজের জন্য প্রায় দেড়শো আলোক শিল্পী অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অযোধ্যাকে চন্দননগরের আলোর সাজিয়ে তুলতে উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার বরাত মিলেছে বলেও জানা গিয়েছে।
অযোধ্যা সেজে উঠবে চন্দননগরের আলোতে: উল্লেখ্য যে, আগামী ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করতে চলেছেন রাম মন্দিরের। ওইদিন এই বিশেষ অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের বহু অতিথি উপস্থিত থাকবেন। সেই সময়ে মন্দির ও মন্দির প্রবেশের রাস্তা জুড়ে চমক দেখাবে চন্দননগরের আলো। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, একদম ফিরোজাদাবাদ থেকে শুরু করে অযোধ্যার রাম মন্দির পর্যন্ত আলোর গেট লাগানো থাকবে।
আরও পড়ুন: জাপানকে হারিয়ে তৃতীয় বৃহত্তম অটো মার্কেট ভারতে! এই বছরের মধ্যে লক্ষ্য প্রথম স্থান
মূলত, ওই আলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে রাম-লক্ষ্মণ-সীতা এবং হনুমানের ছবি। পাশাপাশি থাকছে পদ্মফুলের আলোও। রাম মন্দির যাওয়ার রাস্তায় থাকবে মোট ৩০০ টি আলোর গেট। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই আলোগুলি এক বছর ধরে জ্বলবে। তাই, সেগুলি যাতে সহজে নষ্ট না হয়ে যায় সেই কারণে লোহার কাঠামোর ওপর নতুন ধরণের এলইডি স্ট্রিপ দিয়ে সাজানো হচ্ছে আলো। যার জন্য, হুগলি থেকে দেড়শো জন আলোক শিল্পী পাড়ি দিয়েছেন অযোধ্যায়।
আরও পড়ুন: আর কে রোখে, নিজের সাফল্য নিয়ে বড় রহস্য ফাঁস করলেন খোদ রিঙ্কু! চমকে দেবে বয়ান
এদিকে, এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য কিছু আলোক সজ্জা করে নিয়ে যাওয়ার পাশাপশি অযোধ্যায় পৌঁছে বাকি কাজ শেষ করা হবে বলেও শিল্পীদের তরফে জানানো হয়েছে। এমতাবস্থায়, আগামী ২০ তারিখের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ, রাম মন্দির দর্শনে আসা লক্ষ লক্ষ মানুষ এবার চন্দননগরের আলোকসজ্জাও পরিদর্শন করবেন। যা আলাদাভাবে নজর কাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলার আলোক শিল্পীরা।