বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর গোটা দেশে বিজেপির ব্যাপক লাভ হয়েছে। বিজেপির সদস্যতা অভিযান বিগত সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। মাত্র দেড় মাসেই বিজেপি দেশ জুড়ে ৩ কোটি ৮০ লক্ষের থেকে বেশি সদস্য বানিয়ে ফেলেছে। সবথেকে চমকপ্রদ ব্যাপার হল, উত্তর প্রদেশের বিজেপি ৫৫ লক্ষ নতুন সদস্য বানিয়ে ফেলেছে। বিজেপির এই সদস্যতা অভিযান ৬ই আগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল, আর ২০ই আগস্ট শেষ হয়েছিল।
সবথেকে সফল রাজ্য উত্তর প্রদেশের কথা বললে, সেখানে ২০১৫ সালে বিজেপির মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৩ লক্ষ। এইবার সদস্যতা অভিযানে ২০ শতাংশ মানে ২২ লক্ষ ৬০ হাজার নতুন সদস্য বানানোর লক্ষ্য রাখা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের সদস্যতা অভিযান সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেয়। উত্তর প্রদেশ ছাড়া দিল্লীতে বিজেপি সবথেকে বেশি সদস্য সংগ্রহ করেছে। কয়েকমাস পরেই দিল্লীতে নির্বাচন হবে, আর বিগত দেড় মাসে বিজেপি দিল্লীতে ১৫ লক্ষ নতুন সদস্য বানিয়েছে। সদস্যতা অভিযানের পর্যবেক্ষক দুষ্মন্ত গৌতম বলেন, বিজেপি প্রতি ছয় বছরে সদস্যতা অভিযান চালায়। আর এই অভিযানে ২০ শতাংশ নতুন সদস্য বানানোর লখ্যমাত্রা রাখা হয়। দুষ্মন্ত গৌতম বলেন, এই বারের অভিযান বিজেপির সবথেকে বড় উপলব্ধি হিসেবে সামনে এসেছে।
জম্মু কাশ্মীর থেকেও বিজেপি অপ্রত্যাশিত ভাবে সফলতা হাসিল করেছে। অভিযানে জম্মু কাশ্মীর থেকে বিজেপি ৩ লক্ষ ৫০ হাজার নতুন সদস্য বানিয়েছে। জম্মু কাশ্মীরের জন্য বিজেপি মাত্র ১ লক্ষ নতুন সদস্যের টার্গেট রেখেছিল। দুষ্মন্ত গৌতম বলেন, ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হওয়ার পর জম্মু কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়। আর এই কারণে সেখানে সদস্যতা অভিযানে একটু প্রভাব পড়েছে। আর এই কারণে জম্মু কাশ্মীরে সদস্যতা অভিযানের তারিখ ২৫ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিজেপি আশা করেছে যে, জম্মু কাশ্মীর আর লাদাখ থেকে বিজেপি ১২ লক্ষ নতুন সদস্য বানাবে।
অনান্য রাজ্য গুলোর কথা বললে, গুজরাটে ৩৩ লক্ষ ৭৩ হাজার, কর্ণাটকে ১৬ লক্ষ ৯০ হাজার, মহারাষ্ট্র ১৯ লক্ষ ৯৭ হাজার, রাজস্থানে ২০ লক্ষ ৮৭ হাজার আর মধ্যপ্রদেশে ২৪ লক্ষ ৫৩ হাজার নতুন সদস্য হয়েছে এছাড়াও উত্তরাখণ্ডে প্রায় ১০ লক্ষ, হরিয়ানায় ৭ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৮৪, হিমাচল প্রদেশে ৪ লক্ষ ৬২ হাজার ৮০৪ আর পাঞ্জাবে ৫ লক্ষ ৫ হাজার ৪২২ জন নতুন সদস্য হয়েছে।