বাংলা হান্ট ডেস্ক: তিরুপতি বালাজিতে পুজো দিয়ে চন্দ্রযানের সাফল্য কামনা করেন বিজ্ঞানীরা (Chandrayaan 3)। দূরে ওই চাঁদা মামার দিকে তাক করেই পাঠানো হয়েছে চন্দ্রযান-৩। এর আগে চন্দ্রযান-২ প্রায় সাফল্যের গোড়ায় গিয়ে সামান্য সমস্যার সম্মুখীন হয়ে ব্যর্থ হয়। কিন্তু এবার এর ভুলচুকের কোনো জায়গা নেই। সেইবার যে অর্বিটার পাঠানো হয়েছিল তা অবশ্য এখনো কাজ করেই চলেছে। তবে ল্যান্ডার বিক্রম সফট ল্যান্ডিং করেনি চাঁদের মাটিতে। চন্দ্রযান-৩ কিন্তু চাঁদে নেমেই ভারতের (India) প্রতীক ছেড়ে আসবে।
জানা যাচ্ছে তৃতীয় চন্দ্রযান (Chandrayaan-3) ঠিকমতো অবতরণ করতে পারলেই চাঁদের বুকে নিজেদের অস্তিত্ব ছেড়ে আসবে ভারত। চাঁদের মাটিতে শুধু জলের খোঁজ বা নুড়ি-পাথর কুড়নো নয় সেসব তো চলবেই। সাথে রোভারটি চাঁদের বুকে খোদাই করে দেবে ভারতের অশোক স্তম্ভ আর সেইসাথে ইসরোর প্রতীক চিহ্নও এঁকে দেবে সেটি।
ইতিমধ্যে পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে গিয়েছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। পেলোড আলাদাও হয়ে গিয়েছে। অপেক্ষা শুধু চাঁদের পথ ধরার। ইসরো সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, পৃথিবীর কক্ষে পাঁচ বার প্রদক্ষিণ করে চাঁদের দিকে যাবে সেটি। যদিও চাঁদের মাটিতে নামার জন্য এখনো কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটি ছোঁবে ল্যান্ডারটি।
চাঁদের বুকে নামবে প্রজ্ঞান রোভার। বিক্রম ল্যান্ডারের একদম পেটের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে সেটি । নানান নুড়ি পাথর কুড়ানো থেকে শুরু করে চাঁদের মাটি পরীক্ষা করা, চাঁদের গহ্বর বা ক্রেটারের ছবি তোলা, সেখানে বরফের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করা সহ নানান কাজ রয়েছে পুঁচকে রোভারের। এবং সেইসাথে সেটি অশোক স্তম্ভ এবং ইসরোর প্রতীক চিহ্নও এঁকে দেবে চাঁদের বুকে।
এদিকে এই নিয়ে বিরাট উৎসাহী বিজ্ঞানীমহল। এখানে সফলতা পাওয়া গেলে, অর্থাৎ চাঁদের মেরুতে বরফ খুঁজে পেলে সেটি বড় খোঁজ হবে। কারণ বরফ রয়েছে মানেই জলের খোঁজ রয়েছে। চাঁদে বরফ কোথায় রয়েছে, কী পরিমাণে রয়েছে, এই তথ্য পাওয়া গেলে আগামী দিনে চাঁদেই স্পেসস্টেশন স্থাপন করার কথা ভাবতে পারে বিজ্ঞানীমহল। মহাকাশ পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে সেটি বেশ বড় অগ্রগতি হবে।