বাংলা হান্ট ডেস্ক : এত দিন অবধি রেশন দোকানে চাল ডাল চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পাওয়া যেত। যদিও সেই তালিকায় মশলাপাতি ছিল কিন্তু মাঝে মাঝে আলু ও পেঁয়াজ দেওয়া হত। তবে এ বার চাল ডাল চিনি তেল নুন এসবের পাশাপাশি রেশন দোকানে মাছ মাংস ও ডিমের মতো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জিনিস দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি আয়োগ কমিটির একটি বৈঠকে এমনই প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর। দুঃস্থ মানুষদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছে নীতি আয়োগের কর্মকর্তারা। কিন্তু হঠাত্ কেন এই সিদ্ধান্ত? সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে 10 জন শিশুর মধ্যে চার জনই অপুষ্টিতে ভোগে,তাই স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করতে এবং শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করে ভর্তুকির বিনিময়ে রেশন দোকানে চাল ডাল ছাড়াও মাছ মাংস ডিম বিক্রি শুরু করার কথা ভাবা হচ্ছে।
যদিও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে কেন্দ্রের আর্থিক দিকটির ওপর চাপ পড়তে পারে কিন্তু দেশের মানুষের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত শীঘ্রই কার্যকর করতে চলেছে নীতি আয়োগের কর্তারা। তাই সমস্ত কিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে আগামী বছর থেকে দেশের রেশন গুলিতে মাছ মাংস ও ডিম পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্য দিকে আরও একটি সূত্র বলছে, বর্তমানে শিশুরা জাঙ্ক ফুডের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে আর এতেই নানান রকমের রোগভোগ দেখা যায় শিশুদের মধ্যে। তাই ভর্তুকির বিনিময়ে যদি মাছ মাংস ও ডিম এগুলি সরবরাহ করা যায় সেক্ষেত্রে দেশে একদিকে যেমন অপুষ্টি সংখ্যা কমবে অন্যদিকে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে।