বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের (India) প্রথম ইন্টারপ্ল্যানেটরি মিশন মঙ্গলযান (Mission Mangal) ২০১৩ সালে লঞ্চ হয়েছিল। পাশাপাশি ২০১৪ সালে প্রথম প্রচেষ্টায় মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে এটি বিশ্বের প্রথম মিশন হয়ে ওঠে। এর পরে, মঙ্গলযান-২-এর প্রস্তুতির বিষয়টি সামনে এসেছিল। পাশাপাশি, ২০২২ সালে সংসদে এই তথ্যটিও জানানো হয়েছিল যে, শুক্রযান অর্থাৎ মিশন ভেনাসের (Mission Venus) পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায়, এই মিশন দ্রুত সম্পন্ন হতে পারে।
এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের একটি অনুষ্ঠানে, ISRO-র তরফে পি শ্রীকুমার বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে জানান যে, মিশন ভেনাসের উদ্দেশ্য হল, পেলোড অর্থাৎ হাই রেজোলিউশন সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডারের মাধ্যমে শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডল অধ্যয়ন করা ও ওই গ্রহের পৃষ্ঠের চিত্র তৈরি করা এবং জলবায়ু পরীক্ষা করা ইত্যাদি।
মিশন ভেনাস কেন কঠিন: এদিকে, বিজ্ঞানীদের মতে, মিশন ভেনাস খুব একটা সহজ বিষয় নয়। এমনিতেই, শুক্র গ্রহটিকে কিছুটা জটিল বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি, শুক্রের পৃষ্ঠের গঠনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। সেখানে মাত্র ৬০ কিলোমিটার উচ্চতায় ঘন সালফিউরিক অ্যাসিডের মেঘ রয়েছে। এছাড়াও, ওই গ্রহটি ধীরে ধীরে ঘোরে কিন্তু সেখানে বাতাস দ্রুত প্রবাহিত হয়।
তবে, এইসব চ্যালেঞ্জ থাকা সত্বেও ISRO-র চেয়ারম্যান এস. সোমনাথের মতে, ২০২৮ সালের মধ্যে এই মিশন লঞ্চ করার ক্ষেত্রে একটি ভালো সুযোগ রয়েছে। এদিকে, এই অভিযানের মাধ্যমে শুক্র গ্রহে যে যানটি পাঠানো হবে সেটি সেখানে চারিদিকে অনুসন্ধান করবে এবং খুঁজে বের করবে শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠের নিচে ঠিক কি রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, শুক্রকে উষ্ণতম গ্রহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এটি সূর্যের সবচেয়ে কাছে রয়েছে। ISRO বর্তমানে এই মিশনের ক্ষেত্রে উৎক্ষেপণের জন্য ২০২৪ সালকে নির্ধারণ করেছে। তবে ২০২৪ সালে কোনো সফলতা না এলে, এটি ফের ২০৩১ সালে লঞ্চ করা যেতে পারে। এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ISRO।
২০৩১ সাল মিশন ভেনাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: উল্লেখ্য যে, ২০৩১ সালটি NASA এবং ইউরোপিয় মহাকাশ সংস্থার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ISRO-র পাশাপাশি তারাও শুক্র গ্রহে তাদের মিশনের ল্যান্ডিং করতে চলেছে। যদিও চিন ২০২৬-২৭-এর আগে যেকোনো সময় তার মিশন সম্পন্ন করতে পারে। এমতাবস্থায়, যদি ভারত ২০২৪ সালে তার এই মিশনে সফল হয়, সেক্ষেত্রে ISRO চিনকেও টেক্কা যাবে।