বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাঙালি থেকে শুরু করে সমগ্ৰ দেশের পর্যটকদের কাছেই পুরী (Puri) হল অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পট। কারণ এখানে সমুদ্রের পাশাপাশি বাড়তি পাওনা হল জগন্নাথ দেবের মন্দির (Jagannatha Temple Puri)। আর সেই কারণেই দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত ভিড় জমান এখানে। এমতাবস্থায়, এবার পর্যটকদের জন্য একটি বড়সড় সুখবর সামনে এসেছে।
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, খুব শীঘ্রই ওড়িশা সরকার পুরীতে শ্রী জগন্নাথ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক বিমানবন্দরের জমির ছাড়পত্র দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলেই এবার পুরীতে যাতায়াতের বিষয়টি আরও সহজ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য যে, সরকারের তরফে বিমানবন্দর তৈরির অনুমতি চেয়ে এক বছর আগেই সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা করা হয়েছিল। এছাড়াও, গ্রীনফিল্ড এয়ারপোর্টস (GFA) নীতি, ২০০৮ অনুযায়ী বিমানবন্দর তৈরির ছাড়পত্র চাওয়া হয় মন্ত্রকের কাছ থেকে। এমতাবস্থায়, জানা গিয়েছে, ছাড়পত্র দেওয়ার সময় MoCA রাজ্য সরকারকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রকল্পের বিশদ রিপোর্ট প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনে সফরকালীন এড়িয়ে চলুন এই ১০ সংস্থার খাবার! তালিকা প্রকাশ করে সতর্ক করল রেল
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, পুরীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করার বিষয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব রেখেছিলেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রীও সেই প্রস্তাবে ইতিবাচক জবাব দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন পট্টনায়ক। এদিকে, বর্তমানে ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে রাজ্যের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি রয়েছে। এমতাবস্থায়, বিমানপথে যাঁরা পুরীতে যান, তাঁদের ভুবনেশ্বর থেকে বেশ কয়েক ঘণ্টা সফর করে পুরী পৌঁছতে হয়। তবে এবার নতুন বিমানবন্দর তৈরি হলে মিলবে সুবিধা।
আরও পড়ুন: কোটি কোটি গ্রাহকদের জন্য বড় পদক্ষেপ সরকারের! বিনামূল্যে রেশনের পাশাপাশি মিলবে এই সুবিধা
প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, এই বিমানবন্দরটি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৫, ৬৩১ কোটি টাকা। এদিকে, পুরী জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই ব্রহ্মগিরি তহসিলের অধীনে সিপাসরুবালি এবং সন্ধাপুরে ৬৮ একর বনভূমি এবং ২২১.৪৮ একর ব্যক্তিগত জমি-সহ প্রায় ১,১৬৪ একরের জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত একজন আধিকারিক জানিয়েছেন যে, “বিমানবন্দর গড়ে তোলার জন্য জমি বাছাইয়ের পর প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে জমির মালিকদের থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কিছু সরকারি জমিকেও কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, সাইট ক্লিয়ারেন্সে ছাড়পত্র মেলায় কাজের গতি বাড়বে।” এদিকে, সবকিছু ঠিকঠাকভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোলে আগামী বছরের শুরুতেই এই বিমানবন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।