বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভ্রমণপিপাসুদের কাছে উত্তরবঙ্গ (North Bengal) অন্যতম পছন্দের ট্রাভেল ডেস্টিনেশন হিসেবে বিবেচিত হয়। শুধু তাই নয়, সেখানকার জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলির পাশাপাশি বর্তমানে ভিড় বাড়ছে অফবিট ডেস্টিনেশনগুলিতেও। আর সেই কারণেই বছরের প্রতিটি সময়েই পর্যটকদের ভিড় পরিলক্ষিত হয় উত্তরবঙ্গে। এদিকে, এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। যার জেরে আগামী দিনে উত্তরবঙ্গ ভ্রমণ করা আরও সহজ হয়ে উঠবে।
কারণ, এবার একসঙ্গে জুড়তে চলেছে ডুয়ার্স থেকে শুরু করে শিলিগুড়ি এবং গজলডোবা। তাই, এই জনপ্রিয় স্পটগুলিতে বৃদ্ধি পাবে পর্যটকদের সংখ্যাও। পাশাপাশি, লাভবান হবেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এবার আসলে খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর একটি স্বপ্নের প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে চলেছে। উল্লেখ্য যে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গজলডোবাতে “মেগা টুরিজম হাব”-এর ঘোষণা করেন। এমতাবস্থায়, কয়েক হাজার কোটি টাকার ওই প্রকল্পের অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যার মধ্যে রয়েছে “ভোরের আলো” কটেজ, যুবকল্যাণ দফতরের আবাসন এবং পর্যটকদের বিভিন্ন ধরণের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থাও।
এছাড়াও, সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই সময়ে পর্যটকদের হয়রানি কমাতে শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি গজলডোবা অবধি রাস্তার ঘোষণাও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমতাবস্থায়, জানা গিয়েছে যে, এবার ওই রাস্তার জট কাটতে শুরু করেছে। কারণ প্রায় দেড় বছরের মতো বন্ধ থাকা দু’টি সেতুর সংস্কারের জন্য দরপত্র বা টেন্ডার হয়েছে। পাশাপাশি, সেতু দুটির সংস্কারের কাজ শেষ হলে, নতুন উড়ালপুলটিও ফের চালু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চভূতে বিলীন হলেন জৈন সমাজের “বর্তমান মহাবীর”! শোকের ছায়া সমগ্ৰ দেশজুড়ে, স্মৃতিচারণ প্রধানমন্ত্রীর
জানিয়ে রাখি যে, বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে বছর বিভিন্ন প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এবং টালবাহানার পরে সম্প্রতি পূর্ত দফতর প্রায় ১৪ কোটি টাকার টেন্ডার সামনে এনেছে। এমন পরিস্থিতিতে, চলতি মাসের শেষেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আগামী মাসে অর্থাৎ মার্চ থেকেই এই কাজ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, সামগ্রিক বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ত দফতরের জলপাইগুড়ি হাইওয়ে ডিভিশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার দীপক সিংহ জানিয়েছেন, ‘‘ইতিমধ্যেই টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। আশা করছি মার্চ থেকে কাজ শুরু হবে। দু’টি সেতুর ওপরের অংশ নতুন করে তৈরি হবে।’’ তিনি আরও জানান যে, ক্ষতিগ্রস্ত সেতুগুলি সেচ দফতরের অধীনে থাকলেও সরকারি প্রক্রিয়ায় সেগুলি পূর্ত দফতরের হাতে এসেছে। তারপরে, সেতুগুলির সার্ভে করা হলে সেই রিপোর্ট কলকাতায় গিয়ে অনুমোদনের পরে টাকা বরাদ্দ করায় টেন্ডার হয়েছে। আর এই বিষয়টিতেই লেগে গিয়েছে বেশকিছুটা সময়।
আরও পড়ুন: “খতম, টাটা….বাই, বাই”, ভারতের সাথে পাঙ্গা নিয়ে দেউলিয়া মলদ্বীপ? প্রকাশ্যে এল বড় তথ্য
মিটবে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি: এদিকে স্বাভাবিকভাবেই এতদিন ধরে এই সেতু বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে পর্যটকদের দীর্ঘ ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। বর্তমানে প্রায় ১১ কিলোমিটার ঘুরপথে গজলডোবা পৌঁছতে হচ্ছে। পাশাপাশি সেখান থেকে ডুয়ার্স যেতেও লাগছে বেশি সময়। এদিকে, ঘুরপথের রাস্তার প্রায় আট কিলোমিটার জুড়ে খানাখন্দ রয়েছে। এমনকি আমবাড়ি রেলগেটে দফায় দফায় আটকে থাকছে গাড়ি। যার ফলে চরম অসুবিধের সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পর্যটকরা। তবে, এবার এই বড় জট কেটে যাওয়ায় দীর্ঘ ভোগান্তি শেষ হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন সকলে।