বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে পোল্ট্রি ফার্মিং (Poultry Farming) একটি জনপ্রিয় ব্যবসায়িক (Business) মাধ্যম। যার সাহায্যে বাড়িতেই মুরগির ফার্ম শুরু করে প্রতি মাসে প্রচুর লাভ অর্জন করা যায়। এমনিতেই, দিন দিন ক্রমশ চাহিদা বাড়ছে মুরগির মাংসের। এমতাবস্থায়, আপনিও যদি মুরগি পালনের কথা ভাবেন সেক্ষেত্রে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। পাশাপাশি, আপনি এই ব্যবসা থেকে শুধু বাড়তি আয় করতেই পারবেন না, এছাড়াও, ব্যবসার ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে সাহায্যও পাবেন।
বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা দেশি মুরগি পালনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। মূলত, দেশি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে বিশাল কিছু বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে এই ব্যবসায় ঝুঁকিও অত্যন্ত কম। এমতাবস্থায় মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই দেশি মুরগি পালনের ব্যবসা শুরু করা যায়। যেটির জন্য প্রয়োজন কিছুটা খালি জায়গা বা জমি।
দেশি মুরগি পালনে পাবেন সরকারি সহায়তা: আমাদের দেশে মুরগির মাংসের চাহিদার পাশাপাশি ডিমের চাহিদাও বিপুলহারে পরিলক্ষিত হয়। এমতাবস্থায়, নকল ডিমের ব্যবসা বন্ধ করতে সরকার ইতিমধ্যেই লাইভস্টক মিশন শুরু করেছে। যার আওতায় দেশি মুরগির ব্যবসা শুরু করছেন এমন ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকি দেবে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আপনি যদি মুরগি পালন শুরু করতে চান, সেক্ষেত্রে গ্রামপ্রিয়া, শ্রীনিধি এবং বনরাজা জাতের মুরগি পালন করতে পারেন। গ্রামপ্রিয়া জাতের মুরগি থেকে ডিম ও মাংস উভয়ই পাওয়া যায়। পাশাপাশি, এই মুরগিগুলির বার্ষিক ২১০ থেকে ২২৫ টি ডিম পাড়ার ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়াও, এর মাংসই সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় তন্দুরি চিকেন হিসেবে।
অন্যদিকে, শ্রীনিধি জাতের মুরগিও মাংস ও ডিম উভয়ই দেয়। পাশাপাশি, এই মুরগির বৃদ্ধিও খুব দ্রুত হয়। এর ফলে কম সময়ে বেশি মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। এছাড়াও, দেশি মুরগির সবচেয়ে ভালো জাত হল বনরাজা। যা বছরে ১২০ থেকে ১৪০ টি ডিম পাড়ে এবং এগুলির মাংসও বেশ ভালো দামে বিক্রি হয়।
দেশি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে লাভ: দেশি মুরগি পালন শুরু করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এই ব্যবসায় খুব বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে মুরগিগুলির দেখভাল করাও সহজ। এছাড়াও, সারা দেশে দেশি মুরগির ডিম ও মাংসের চাহিদা থাকে। পাশাপাশি, এটিকে পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। এমতাবস্থায়, দেশি মুরগির ফার্ম থেকে কম খরচে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব। কারণ বাজারে এই মুরগির একটি ডিমের দাম থাকে প্রায় ৮ থেকে ১০ টাকা। একই সঙ্গে, একটি মুরগির দাম হয় প্রতি কেজিতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। আর এভাবেই, এই মুরগি পালন করে ভালো লাভ করা সম্ভব।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আপনি যদি এই ব্যবসায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে ওই দামে আপনি সহজেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, এই মুরগিগুলি তাদের বৃদ্ধি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি বছর ডিম দেয়। পাশাপাশি, তাদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। এরপর মুরগিগুলি বাজারে বিক্রি করতে পারেন। যা থেকে খুব সহজেই প্রতি বছর হাজার হাজার টাকা লাভ করা যাবে।