বাংলাহান্ট ডেস্ক : WBCS পরীক্ষার ক্ষেত্রে যারা ঘরে বসে পড়াশোনা করেই তাক লাগিয়ে দিতে চান তাদের কিন্তু শুরু থেকেই বিভিন্ন ট্রিকস্ মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। ইউপিএসসির মতো প্রাথমিক বা প্রিলিমস পরীক্ষা, মেইনস বা প্রধান পরীক্ষা এবং গ্রুপ এ, গ্রুপ বি, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি শ্রেণী অনুযায়ী একটি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে আবেদনকারীরা ডব্লিউবিসিএস অফিসার হতে পারবেন।
পরীক্ষার প্যাটার্ন ও সিলেবাস অনুযায়ী WBCS পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবেন কীভাবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
১) নির্দিষ্ট সময়ের আগে সিলেবাস শেষ করে রিভিশন দেওয়ার জন্য অবশ্যই দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টা পড়াশোনা করতে হবে।
২) প্রার্থীদের অবশ্যই এই পরীক্ষার জন্য কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স জানতে হবে।
৩) প্রশ্নপত্রের প্যাটার্ন বোঝার জন্য আগের বছরের প্রশ্ন ফলো করুন।
৪) বিভিন্ন পেপার প্র্যাকটিসের জন্য একটা রুটিন তৈরি করে ফেলুন।
৫) আগের বছরের WBCS পেপারগুলি শেষ করার পাশাপাশি একাধিক মক পেপারগুলি অনুশীলন করতে হবে৷
আরোও পড়ুন : মাস গেলে মিলবে ৬০ হাজার! কর্মী নিয়োগ হবে IIT খড়্গপুর, কারা আবেদন করতে পারবেন?
প্রিলিমস সিলেবাস
মনে করা হচ্ছে, জুন মাসে কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলায় পরীক্ষা হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সকল প্রার্থীকে মূল পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়। ১) ইংরেজি রচনা, ২) সাধারণ বিজ্ঞান, ৩) ভারতের ইতিহাস, ৪) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বের বর্তমান ঘটনা, ৫) পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ উল্লেখ সহ ভারতের ভূগোল, ৬) ভারতীয় জাতীয় আন্দোলন, ৭) ভারতীয় রাজনীতি ও অর্থনীতি এবং ৮) লজিক্যাল রিজনিং কমন অ্যাপটিটিউড বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন থাকে।
মেইন সিলেবাস
প্রিলির পরীক্ষায় পাশ করলে WBCS মেইন সিলেবাসে ছয়টি প্রয়োজনীয় পেপার এবং একটি অপশনাল বিষয় থাকে। তিন ঘন্টার পরীক্ষায় প্রতিটি প্রধান পত্রের জন্য ২০০ নম্বর দেওয়া হয়। ১) বাংলা/হিন্দি/উর্দু/নেপালি/সাঁওতালি ভাষার পেপার, ২) ইংরেজি, ৩) জেনারেল স্টাডিজ I, ৪) জেনারেল স্টাডিজ II, ৫) ভারতের সংবিধান এবং ভারতীয় অর্থনীতি, ৬) ক. পাটিগণিত, খ. রিজনিং পরীক্ষা, ৭) অপশনাল বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয় আবেদনকারীদের।
আরোও পড়ুন : পুলিশের চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতা! ১০ বছরের চেষ্টায় সফল, হাইকোর্টের রায়ে আঁধার নামল প্রদীপের জীবনে
পার্সোনালিটি টেস্টের সিলেবাস
প্রথম দুটো ধাপে যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের পার্সোনালিটি টেস্টের জন্য ডাকা হয়। এই সাক্ষাৎকারে প্রত্যেক প্রার্থীকে সাধারণ আগ্রহের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। গ্রুপ ‘এ’ এবং ‘বি’ প্রার্থীদের জন্য ২০০ নম্বর, গ্রুপ ‘সি’ প্রার্থীদের জন্য ১৫০ নম্বর, গ্রুপ ‘ডি’ প্রার্থীদের জন্য ১০০ নম্বর নির্দিষ্ট করা থাকে।
প্রিলি পরীক্ষার প্যাটার্ন
প্রশ্নপত্র সম্পূর্ণ করতে আড়াই ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রত্যেক বিভাগের জন্য বরাদ্দ নম্বর ২৫।
মেইন পরীক্ষার প্যাটার্ন
ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মেইন পরীক্ষা। ছয়টি বাধ্যতামূলক প্রশ্নপত্র এবং দুটি অপশনাল বিষয়ের পেপার নিয়ে পরিচালনা হয় মোট ১৬০০ নম্বরের এই পরীক্ষা। প্রত্যেকটা পেপারের জন্য ২০০ নম্বর থাকে।